ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেবীগঞ্জে খড়খড়ি নদীর সেতু নির্মাণে ধীরগতি, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

এ রহমান মুকুল, পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ১৪:১১, ২২ মে ২০২৫

দেবীগঞ্জে খড়খড়ি নদীর সেতু নির্মাণে ধীরগতি, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।

জেলার দেবীগঞ্জে খড়খড়ি নদীর ওপর একটি সেতুর কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।  

অভিযোগ রয়েছে, নির্মাণের নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পার হলেও সেতুটির অর্ধেক কাজও হয়নি। দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি ঘিরে প্রতিদিন চলাচল করেন আশপাশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই কাজ শেষ না হলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের উমেষের ডাঙ্গা খড়খড়ি নদী পার হয়ে সোনাহার ইউনিয়নের ৪, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাদশা বাজার ও ভবানীগঞ্জ এলাকার প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ইউনিয়ন পরিষদ, হাসপাতাল ও উপজেলা সদরে যাওয়ার এটি একমাত্র সহজ যোগাযোগের পথ। এ ছাড়া শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীটি হেঁটে পার হওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ‘IRIDP-3’ প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের উমেষের ডাঙ্গা এলাকায় খড়খড়ি নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ টাকা। নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড। 

২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি পিলার নির্মাণ কাজও।

স্থানীয়রা জানান, আগে এই নদীর ওপর বাঁশের তৈরি একটি সাঁকো থাকলেও সেতুর নির্মাণ শুরুর আগে সেটি ভেঙে ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে বর্তমানে এলাকাবাসীকে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এমন ধীরগতিতে কাজ চলতে থাকলে আগামী বর্ষার আগেই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া অনিশ্চিত।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি আরিফ ইসলাম বলেন, “আমি এখানে ১৫ দিন আগে এসেছি। এর আগে এখানে কী হয়েছে সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আপনাদের অভিযোগগুলো আমি শুনেছি সেগুলো আমি ঠিকাদারকে জানাব।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, “সময় বাড়ানো হয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টিপাতের কারণে টেম্পোরারি সেতুটি নষ্ট হয়ে গেছে। এটি পুনরায় নির্মাণ করে সচল করা হবে।”

মিরাজ খান

×