
ছবি: জনকণ্ঠ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতি ও ঝালঙ্গী সীমান্ত দিয়ে ২০ জন বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বুধবার (২১ মে) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত সময়ে ধবলসুতি বিওপির গাটিয়ারভিটা ও ঝালঙ্গী বিওপির সীমানা দিয়ে ওই বাংলাদেশিদের সীমান্ত পিলার ৮২৬/৬-এস ও ৮৪৬/৩-৪-এস-এর বিপরীতে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
রাত ১২টার দিকে ধবলসুতি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে ১১ জন এবং ভোর ৫টার দিকে ঝালঙ্গী সীমান্ত দিয়ে আরও ৯ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির টহলদল পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪০০ থেকে ৫০০ গজ ভিতরে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটক ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, তারা ২ থেকে ৩ বছর আগে কাজের সন্ধানে যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। পরে বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করার সময় গুজরাটে আটক হন এবং এক মাস কারাভোগের পর বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নড়াইল জেলার কালিয়া, তেরোখাদা, দহতলা ও লোহাগড়ার বিভিন্ন এলাকার সীমা খাতুন (২৮) ও তার কন্যা আখি (৪), আফসানা খাতুন (২৫) ও পুত্র হামজা ফাসাব (৬), চায়না খাতুন (২৩) ও তার শিশু কন্যা মরিয়ম খাতুন, এবং দশ মাস বয়সী তাইবা খাতুন, রুমা আক্তার (৩৫), রাফিজা খাতুন (৩৫), রিপা খাতুন (৩০), পান্না বেগম (৪৫), কেয়া আক্তার (২২) ও তার কন্যা লাবিবা খাতুন (২), মোহাম্মদ হোসাইন (১১)।
যশোর জেলার কোতোয়ালি উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের শাহজাহান শেখ (৪০) ও তার স্ত্রী ফারহানা বেগম (৩০)। খুলনার তেরোখাদা উপজেলার বুলাবাজার গ্রামের: আফরি খাতুন (৩০)। নড়াইলের লোহাগড়ার বাটপাড়া গ্রামের: মুরাদ শেখ (২৪), তার স্ত্রী রিতু বেগম (২০) ও কন্যা হাবিবা আক্তার (৩)।
বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের ধবলসুতি বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল মতিন বলেন, “সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।”
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “বিজিবি কর্তৃক হস্তান্তরিত ২০ জন বাংলাদেশিকে বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন নারী, ৭ জন শিশু ও ২ জন পুরুষ। বর্তমানে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই ও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”
এসইউ