
দৈনিক জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে টানা দুই সপ্তাহ ধরেই অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। জমিতে পানি জমে থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই ধান কাটতে পারছেন না তারা। আবার কাটা ধান ঘরে তুললেও শুকানোর অভাবে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ জমির ধান কেটে ফেলা হলেও অনেক খেত হাঁটু বা কোমর পানিতে ডুবে রয়েছে। পানিতে দাঁড়িয়ে বাধ্য হয়ে ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। পানির সঙ্গে জোরদার হয়েছে জোঁকের উপদ্রব, যা শ্রমিক সংকটও বাড়িয়েছে। উচ্চ মজুরিতেও শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
শিলখুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, “টানা বৃষ্টির কারণে আমাদের এলাকার বেশির ভাগ জমির ধান এখনও কাটা যায়নি। অনেক জায়গায় ধানগাছ বাতাসে নুয়ে পড়েছে। পাকা ধান ঘরে তুলতে না পারায় আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”
পাথরডুবি ইউনিয়নের দলবাড়ি বিল এলাকার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন ও নায়েব আলী জানান, “ফলন ভালো হলেও নীচু জমিগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান ঘরে তুলতে না পারলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে।”
বৃষ্টির কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়ে বাড়ির পাশে কিংবা সড়কে কাঁচা ধান শুকানোর চেষ্টা করছেন। কখনো মেঘলা আকাশ, কখনো ঝলমলে রোদের নিচে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্ট করে ধান শুকানোয় সময় কাটছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জনকণ্ঠকে জানান, এ বছর উপজেলার ১৬ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় ধান কাটা ও শুকানোর সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছেন। ওই তালিকা অনুযায়ী আমন মৌসুমে বীজ ও সারের প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
হ্যাপী