
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল এর এত বক্তব্যে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করছে ভারত। দেশটি বাংলাদেশ সরকারকে এজন্য জাতীয়তা যাচাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেন, “আমাদের এখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আছেন যাদের ফেরত পাঠাতে হবে। -ডিএনএ ইন্ডিয়া
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে জাতীয়তা বাছাই করতে বলেছি। আমাদের কাছে ২ হাজার ৩৬০ জনের তালিকা রয়েছে। যাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তাদের বেশিরভাগ কারাদণ্ড ভোগ করেছে। কিন্তু কয়েকজনের জাতীয়তা বাছাই ২০২০ সাল থেকে থমকে আছে।”
শুধু বাংলাদেশি নয়, যারাই ভারতে অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করেছে তাদের সবাইকে আইন অনুযায়ী ফেরত পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন রণধীর জসওয়াল।
আইন অনুযায়ী যদি ঢাকায় বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর মধ্যে ভারতে অবৈধভাবে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামীপন্থীরা ও থাকবে। গত ৫ আগস্ট পতিত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দলটির অনেক নেতাকর্মীও ভারতে অবৈধভাবে আত্মগোপন করে আছে। যদি সত্যিই অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারত ফেরত পাঠায়, তাহলে এর মধ্যে অনেক আ.লীগের নেতাকর্মী ও থাকবেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে ভারত। গত মাসে গুজরাটে ১ হাজার জনকে আটক করেছিল দেশটির পুলিশ। যাদের অনেকেই বাংলাদেশি ছিলেন।
এছাড়া ভারত গত কয়েকদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে অনেককে পুশ ইন করছে। এতে সহায়তা করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
ফুয়াদ