
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় মানবিক সহায়তা বহনকারী কনভয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে গাজার সরকার। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, বৃহস্পতিবার চালানো আট দফা বিমান হামলায় এই নিরাপত্তা সদস্যরা নিহত হন। এই হামলার সময় তারা মানবিক সহায়তা ও ওষুধের ট্রাক পাহারা দিচ্ছিলেন, যাতে তা লুটপাটের শিকার না হয়।
এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, “দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখন পরিকল্পিতভাবে সহায়তা বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করছে, যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং খাদ্য ও ওষুধ সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছায়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি পদ্ধতিগত উপায়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা লুটপাটের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে এবং জনসাধারণকে অনাহার ও ওষুধ সংকটে ফেলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনো ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মানবিক সংস্থাগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ গাজায় ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
সমালোচকরা বলছেন, সহায়তা কনভয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল এক ধরনের মানবিক বিপর্যয়কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গভীরতর করছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং জ্বালানির অভাব চরম আকার ধারণ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া জীবন রক্ষার একমাত্র উপায় হলেও তা নিয়েও এখন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
গাজার এই অভিযোগ সামনে আসার পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের পাশাপাশি যদি মানবিক সহায়তা ব্যাহত হয়, তবে তা শুধু গাজার জনজীবনকে নয়, পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপই পরিস্থিতির মোড় ঘোরাতে পারে।
এসএফ