
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পল্লী চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে মো. আবুল হোসেন রাফি (১৮) নামে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা নেওয়ার পথে নিহত হয়েছে। এর আগে, আহত হওয়ার খবর প্রকাশ হলেও রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চাঁন মিয়ার মোড় বেল্লাকোট্রা এলাকার একটি চা দোকানে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
রাফি একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের অলিপুর গ্রামের মো.আজাদের ছেলে। অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মো.শাহীন (৬০) একই এলাকার সুজাত উল্যার ছেলে।
আহত রাফির বন্ধু সায়েম জানান, বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের অশ্বদিয়া সোলেমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলার সময় আমার হাত লেগে আমার বন্ধু মো.রুমনের ঠোঁট ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। পরবর্তীতে খেলার মাঠ থেকে রুমনকে অলিপুর চাঁনমিয়া মোড় এলাকায় পল্লী চিকিৎসক মো.শাহীনের কাছে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে শাহীন রুমনকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা দেখালে তার সাথে একদল কিশোরের বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাফির সাথে পল্লী চিকিৎসক শাহীনের হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে শাহিন রাফিকে চা দোকানে থাকা ছুরি দিয়ে গলার নিচে ছুরিকাঘাত করে, যাতে তার ধমনি কেটে যায়। এতে রাফি গুরুতর আহত হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা রাফিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু আঁচ করতে পারলেও আল বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, নিহতের স্বজনেরা তার মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সজিব