
ছবি: জনকণ্ঠ
জয়পুরহাটে কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের ডিংরাপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব ইসাহাক আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন রেজুয়ান শখের বসে শুরু করেছিলেন ছোট্ট একটি খামার সেখান থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে বর্তমানে তার খামারে ২৫ টি গরু আছে ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন গরুগুলোকে।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কালাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা এতে করে স্থানীয় অনেক ক্ষুদ্র খামারি নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। যদিও সারা বছরই এই কার্যক্রম চালু থাকে, তবে ঈদুল আজহাকে ঘিরে এই সময়টাতে কর্মচাঞ্চল্য চোখে পড়ে খুব বেশি।
জানা গেছে, কুরবানী ঈদে বিক্রির জন্য ডিসেম্বর মাসে গরুগুলোকে কিনেছিলেন রেজুয়ান.লালন পালন করে ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন সেগুলোকে প্রায় ছয় মাস লালন-পালন করেই ভালো দাম থাকলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন খামারি রেজুয়ান।
রেজুয়ান প্রতিদিনের কাগজ কে জানান, তিনি ছোট বেলায় বাসায় গরু পালা দেখতো সেখান থেকে ইচ্ছে জাগে সুযোগ পেলে খামারি হবেন লেখাপড়া শেষ করে সংসার এর হাল ধরেন তিনি, ২০২০ সালে চারটি গরু দিয়ে শুরু করেছিলেন ছোট্ট একটি খামার এখন তার খামারে ২৫টি গরু ও দুইটা মহিষ আছে সামনে কুরবানীর ঈদ সে জন্য গরুগুলোকে বিভিন্ন ভাবে যত্ন নিচ্ছি ঈদে বিক্রি করবো লাভবান হলে পরবর্তীতে খামারে গরুর সংখ্যা বাড়াবো।
স্থায়ী খামারিদের পাশাপাশি মৌসুমী খামারিরাও ভালো লাভের আশায় এই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বাড়ির আঙিনায় গরু লালন-পালন করে আয় করছেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রতিদিনের কাগজকে জানান, বর্তমানে যে আবহাওয়া এটা এনিম্যাল এর জন্য খুব ভালো আবহাওয়া পুরো উপজেলা তে এনিম্যাল এর এল এস ডি নামক একটা রোগ আছে সেটা বাছুর এর হয় কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত এনিম্যাল এর হয় না আমাদের প্রচুর পরিমাণে টিকার ব্যবস্থা রয়েছে কোথাও কোন মহামারী দেখা দিলে আমরা সেখানে যাচ্ছি পরামর্শ দিচ্ছি রোগটি যেন না হয় আমরা আশা করছি এবার একটা ভালো সময় পার করতে পারবো ।
সাব্বির