
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ঠিক করেননি ভাইয়েরা। ঠিক করেননি। জুলাইয়ে ঝিমিয়ে যাওয়া আন্দোলনকে আল্লাহর নামে শুরু করেছিলাম। বাংলাদেশের মানুষ শুধু একটি কর্মসূচির অপেক্ষা করছিলো। ভাই-বোনের উপরে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে না পেরে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে আসলো। ২৮ জুলাই থেকে কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ সাড়া দিলো। ২রা আগস্ট ক্যান্টনমেন্টের এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বারবার চাপ আসতে থাকে যেন আমরা অনলাইনেই একদফা দিয়ে দেই। হাহা!
হাসিনার পতন যে প্রায় নিশ্চিত সেটা সেদিনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। হাসিনার পতন হবে জানার পর আমি খুশি হয়ে যাই। অনলাইনে প্রতিটি স্লোগান হান্নান-রিফাত পর্যবেক্ষণ করে ঘাপলা থাকার সম্ভাবনা জানায়। আমরা অনলাইনে একদফার ঘোষণা নাকচ করে দিই। মারদাঙ্গা সাংবাদিক বিদেশ-বিভূঁইয়ে বসে অফার করেছিলেন মন্ত্রীত্বেরও! ভেবেছিলাম, জুলাই বিপ্লবের ঘটনাপ্রবাহ বইয়েই লিখবো। আজকে লিখতে হচ্ছে, তা-ও আবার ইতরামির জায়গা ফেসবুকে!
কোটা আন্দোলনের সময় হলপাড়ায় ছাত্রলীগের ডেরায় ঢুকে ঢুকে স্লোগান দেওয়ার সময় খালি সঙ্গ দিতো এসে মোসাদ্দেক। কলা টানো, পানি টানো, ক্রাউড ফান্ডিং করো, হলপাড়ায় ছাত্রলীগের ডেরায় স্লোগান দাও সব কামলাই দিলাম। রক্ত-ঘামে একাকার ছিলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাক্ষী পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিনি। কত ঘটনা শেষ হয়ে নিজের কমিটমেন্ট ব্রেক করেছি, স্যোসাল লাইফ ধ্বংস করলাম- বাপ-মায়ের আদরও হারালাম।
সবকিছু হারিয়ে এসে ৫ আগস্ট থেকে নাই। নাই মানে নাই-ই! কখন চ্যানেল ২৪ অফিসে গেলো, কখন লিয়াজোঁ কমিটি হলো জানলামও না। তা ভালো কথা, পলিসি লেভেলে তো রাখতে পারতেন! রাখলেন না কারণ ক্যালিবার নাই রাজনীতির। 'বিপ্লবী' বলে দূরে দূরে রাখলেন। ডাকসু করলে সব যাবে আপনাদের, থামিয়ে দিলেন। খালি কোরাম আর কোরাম! খালি কোরাম! দুঃখে হাসিই আসে।
এতই ক্যালিবার যে, হয়ে যাওয়া ঐক্য বিনষ্ট করে দেন। দুঃখ এটাই যে কোরামবাজির এই মাশুল জুলাইয়ের সকল সন্তানকে দিয়ে দেওয়াবেন। দুঃখের জাবর কাটছি মানে এটা না মনোবল হারিয়েছি। যারা জুলাইয়ে ঘাম-রক্ত না ঝরিয়ে বড় পদ পেয়েছেন তারাই এই অনৈক্যের মূল কান্ডারী। আমরা প্রমাণ দিয়েছি, দিবো ইনশাআল্লাহ- পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিনি আর করবো না ইনশাআল্লাহ।
রিফাত