
ছবি: সংগৃহীত
‘কোরবানি জরুরি নাকি ঐচ্ছিক বিধান? কয়টা পশু কোরবানি করতে হয়?’ এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। এক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরামদের দুটি প্রসিদ্ধ মতামত আছে বলে জানান তিনি।
প্রথম মতামত হিসেবে কয়েকটি বিশুদ্ধ হাদিস উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘যাদের সামর্থ্য আছে, অর্থাৎ নেসাব পরিমাণ সম্পদ আছে, ঈদুল আজহার দিন অথবা ইসলামি বিধান মোতাবেক পরবর্তী যে দিনগুলোতে কোরবানি করা যায়, সেদিন কোরবানি করা তাদের জন্য ওয়াজিব, জরুরি, বাধ্যতামূলক। না করলে গুনাহ হবে।’
এছাড়া, ওলামায়ে কেরামদের দ্বিতীয় মতামত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘অনেক ওয়ালামে কেরাম বলেন, কোরবানি করা ওয়াজিব নয়, এটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অর্থাৎ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। বিনা কারণে এটি পালন না করা মাকরূহ, আল্লাহ তা'আলার অপছন্দনীয়।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং ওয়াজিবের মধ্যে খুব বেশি তারতম্য নেই, গুরুত্বের বিচারে দুটিই প্রায় কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘সর্বসাকুল্যে কোরবানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইসলামি বিধান। এটি যে ওয়াজিব, তার পক্ষে অনেকগুলো ইসলামি বর্ণনা রয়েছে।’
এছাড়া, ‘কোরবানি কয়টা করতে হয়’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে বর্তমানে কোরবানির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এক ধরনের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। তবে ইসলামি শরিয়াহ মোতবেক, একটি কোরবানি করাই যথেষ্ট, একাধিক কোরবানি করা জরুরি নয়।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) হিজরতে পরে ১০ বছর মদিনায় বসবাস করেছেন। প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। তিনি দুটি ভেড়া কোরবানি করেছেন, তবে তিনি যদি চাইতেন কোরবানির সংখ্যা বাড়াতে পারতেন, উট, দুম্বা কোরবানি করতে পারতেন। তিনি দুটি ভেড়া কোরবানি করেছেন, এর একটি তাঁর নিজের এবং পরিবারের পক্ষ থেকে, অন্যটি তাঁর তাওহীদবাদী গোটা উম্মতের পক্ষ থেকে।’
এছাড়া, ‘কোরবানির সংখ্যা বাড়ানোর ভিতরে খুব বেশি কল্যাণ নাই’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তবে কেউ যদি কোনো এলাকাতে গরীব মানুষদের খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে বেশি কোরবানি করেন, লোক দেখানোর উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে অবশ্যই তিনি সওয়াব পাবেন।’
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/1FaWHhEjtF/
রাকিব