
ছবি: সংগৃহীত
কুরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। তবে অনেকেই এ নিয়ে দ্বিধায় পড়েন—ঋণ থাকলে কি কুরবানি দেওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “ঋণ থাকা মানেই কুরবানি নিষিদ্ধ নয়। বরং বিষয়টি নির্ভর করে ওই ঋণ কী পরিমাণ এবং তা শোধ করার সময় ও সামর্থ্যের ওপর।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, যদি কারো ওপর এমন কোনো ঋণ থাকে যা খুব শিগগির শোধ করতে হবে এবং সেই ঋণ শোধের পর কুরবানির জন্য অর্থ অবশিষ্ট না থাকে, তাহলে তার ওপর কুরবানী ফরজ হবে না। কিন্তু যদি ঋণ দীর্ঘমেয়াদি হয়, বা শোধ করার সময়সীমা এখনও অনেক বাকি থাকে, এবং সে কুরবানীর সামর্থ্য রাখে, তাহলে তার জন্য কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব হবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “অনেক সময় দেখা যায়, কেউ ঋণের মধ্যে থেকেও আর্থিকভাবে সচ্ছল—বাড়ি-গাড়ি আছে, ব্যবসা আছে, আয়ও ভালো। এমন ব্যক্তি যদি ঈদের সময় কুরবানি করতে না চায় শুধু ঋণের অজুহাতে, তা হলে সেটা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
তিনি মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন কুরবানির ব্যাপারে শরিয়তের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেন এবং দ্বীন ও দুনিয়ার ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নেন।
সুত্রঃhttps://youtu.be/d-OJ1c011N4?si=Uzaa0CC90VkqdPaW
আলীম