
ছবি: সংগৃহীত।
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলেমে দ্বীন শায়খ আহমাদুল্লাহ এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বক্তব্যে বলেছেন, ইসলামের দৃষ্টিতে এমন ১৩ শ্রেণির মানুষ রয়েছেন যাদের কোনো নেক আমল, ইবাদত কিংবা সালাত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা কবুল করেন না—যতই তারা বাহ্যিকভাবে তা সম্পন্ন করুক না কেন।
তিনি বলেন, “কিছু হতভাগা ব্যক্তি আছেন, যারা বাহ্যিকভাবে যত আমলই করুন না কেন, আল্লাহ তা'আলার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। আমাদের উচিত সেই শ্রেণির মানুষদের আচরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং খাঁটি তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা।”
তিনি হাদীস শরীফের আলোকে ১৩ শ্রেণির ব্যক্তির কথা তুলে ধরেন, যাদের আমল কবুল হয় না। তারা হলেন:
- যারা ইসলাম গ্রহণের পর পুনরায় শিরকে লিপ্ত হন এবং মুশরিকদের সমাজে বসবাস করেন।
- যারা পবিত্রতা ছাড়া সালাত আদায় করেন।
- যারা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দান-সাদকা করেন।
- যেসব নারী সালাত আদায় করেন, কিন্তু সতরের (শরীরের আবশ্যক অংশ) যথাযথ পর্দা রক্ষা করেন না।
- যেসব নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে গমন করেন।
- ইমাম যার পেছনে মুসল্লিরা ন্যায্য কারণে অসন্তুষ্ট, সেই নারী যার প্রতি স্বামী অসন্তুষ্ট, এবং যে দাস পালিয়ে গেছে।
- যে ব্যক্তি মদীনায় ফেতনা সৃষ্টি করে।
- মা-বাবার অবাধ্য সন্তান, দান করে খোটা দেয়, এবং তাকদীর অস্বীকারকারী।
- যে শাসক আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধ ফয়সালা ও শাসন করে।
তিনি আরও বলেন, “এই তালিকায় যেকোনো একটি শ্রেণিতে পড়ে গেলে আল্লাহর কাছে আমল কবুল হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের উচিত আত্মবিশ্লেষণ করে নিজেদের সংশোধন করা।”
নুসরাত