
নির্মাণ কাজে ধীরগতিতে হাজার হাজার মানুষ নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন
পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলা খড়খড়ি নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি। নির্মাণ কাজে ধীরগতিতে এই দুটি জেলার হাজার হাজার মানুষ নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি ঘিরে প্রতিদিন চলাচল করেন আশপাশের প্রায় দশ হাজার মানুষ। সেতু হওয়ার আগে স্থানীয় পর্যায়ে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপার হতো। সেই সাঁকোটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাই বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই সেতুটির কাজ শেষ না হলে মানুষের নদী পারাপারে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের ৪, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার বাদশা বাজার ও ভবানীগঞ্জ এলাকার প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রতিদিন খড়খড়ি নদীর ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করত। ইউনিয়ন পরিষদ, হাসপাতাল ও উপজেলা সদরে যাওয়ার এটি একমাত্র সহজ যোগাযোগের পথ। এছাড়া শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই নদী পার হয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে যায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীটি হেঁটে পার হওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।
জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ওজওউচ-৩ প্রকল্পের আওতায় দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের উমেষের ডাঙ্গা এলাকায় খড়খড়ি নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেবীগঞ্জের তত্ত্বাবধানে সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকার মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড।
২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলেও এখনো অর্ধেক কাজ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি আরিফ ইসলাম বলেন, আমি এখানে ১৫ দিন আগে এসেছি। এর আগে এখানে কী হয়েছে সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আপনাদের অভিযোগগুলো আমি শুনেছি। সেগুলো আমি ঠিকাদারকে জানাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বে) শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, সময় বাড়ানো হয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টিপাতের কারণে টেম্পোরারি সেতুটি নষ্ট হয়ে গেছে। এটি পুনরায় নির্মাণ করে সচল করা হবে বলে তিনি জানান।