
ছবি: সংগৃহীত
দেশের উদীয়মান উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসায়িক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠেছে। পণ্যের নাম, লোগো কিংবা ব্র্যান্ডিং উপাদান সুরক্ষার জন্য অনেকেই এখন ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের দিকে ঝুঁকছেন। তবে অনেকেই জানেন না, এই নিবন্ধনের জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় অ্যাডভোকেট শামীম পাটোয়ারী এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক উদ্যোক্তা আছেন, যারা তাদের পণ্যে ব্যবহৃত নাম বা লোগো ট্রেডমার্ক করতে চাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার দোকানের নাম বা ই-কমার্স সাইটের ব্র্যান্ড লোগো ট্রেডমার্ক করতে আগ্রহী। তবে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হচ্ছে—এটা করতে ঠিক কী কাগজপত্র লাগবে?’
ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. লোগো বা ট্রেডমার্কের ডিজাইন:
যে লোগো বা মার্ক রেজিস্ট্রেশন করতে চান, সেটির ডিজিটাল কপি জমা দিতে হবে।
২. ট্রেড লাইসেন্স:
ব্যবসার নামেই হতে হবে একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স। এটি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন যেখান থেকেই হোক, বৈধ হলেই চলবে।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি:
আবেদনকারীর পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি।
৪. ইমেইল ও মোবাইল নম্বর:
আবেদনকারীর একটি সচল ইমেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
৫. প্রাসঙ্গিক ক্লাস নির্বাচন:
কোন শ্রেণির (ক্লাসের) পণ্যের জন্য ট্রেডমার্কটি ব্যবহার করা হবে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশে ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের জন্য মোট ৪৫টি পণ্য ও সেবার শ্রেণি নির্ধারিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় এসব তথ্য ও কাগজপত্র পূরণ করলেই একজন উদ্যোক্তা সহজেই তার ব্র্যান্ডের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র ব্র্যান্ডের স্বত্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করে না, বরং এটি ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা থেকেও রক্ষা করে এবং ব্যবসার প্রতি ক্রেতার আস্থাও বাড়ায়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=T_Ckgg795JE
রাকিব