
ছবি: সংগৃহীত
সিয়াটলে অনুষ্ঠিত মাইক্রোসফটের ‘বিল্ড ২০২৫’ সম্মেলনটিকে ঘিরে টানা কয়েকদিন ধরে চলেছে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভ। এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রকৌশলী বানিয়া আগরওয়াল।
ভারতীয়-মার্কিন সফটওয়্যার প্রকৌশলী বানিয়া আগরওয়াল দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের সঙ্গে মাইক্রোসফটের সম্পর্কের কড়া সমালোচক। এর আগেও গত এপ্রিল মাসে কোম্পানির ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ দেখিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। চলমান সম্মেলনের সময় তিনি ও আরেক সাবেক কর্মী হুসাম নাসর একটি সেশনে হট্টগোল করেন। সেই সেশনে ছিলেন মাইক্রোসফটের এআই সিকিউরিটির প্রধান নেতাহ হেইবি ও ‘রেসপনসিবল এআই’-এর প্রধান সারাহ বার্ড। তাদের বক্তৃতার মাঝেই তারা চিৎকার করে বক্তব্য থামিয়ে দেন।
এই প্রতিবাদ শুধু মাইক্রোসফটকে ঘিরে নয়, বরং পুরো টেক খাতজুড়ে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রযুক্তি চুক্তির বিরুদ্ধে একটি বড় আন্দোলনের অংশ। আগরওয়াল, যিনি এপ্রিলের বিক্ষোভের পর চাকরি হারান, এখন এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে বিল্ড ২০২৫ সম্মেলনের বিভিন্ন বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করছেন।
নিজের পদত্যাগপত্রে বানিয়া আগরওয়াল দাবি করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাইক্রোসফটের প্রায় ১৩৩ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি আছে, যেখানে এআই ও অ্যাজ্যুর ক্লাউড সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “মাইক্রোসফটের ক্লাউড ও এআই প্রযুক্তি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলছে।”
এই ঘটনাগুলো কোম্পানির ভেতরে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ ও মানবাধিকারবিষয়ক উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়। ১৯ মে বিক্ষোভ শুরু হয়, যখন এক কর্মী সিইও সত্য নাদেলার কীনোট বক্তৃতার মাঝে চিৎকার করে বলেন, “ফ্রি প্যালেস্টাইন!” এবং মাইক্রোসফটের ইসরায়েলের সঙ্গে প্রযুক্তি চুক্তির জবাবদিহিতা দাবি করেন।
পরদিন, এক ফিলিস্তিনি প্রযুক্তি কর্মী মাইক্রোসফট নির্বাহী জে পারিখের অ্যাজ্যুর এআই উপস্থাপনা চলাকালীন মঞ্চে উঠে স্লোগান দেন, “সম্পর্ক ছিন্ন করো! অ্যাজ্যুর নয় বর্ণবাদের জন্য!”
আগরওয়ালের প্রতিবাদ এবং তাঁর পরবর্তী কর্মকাণ্ড গোটা প্রযুক্তি খাতে মানবাধিকার ও সামাজিক দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। এ বিষয়ে এখনো মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্র: এনডিটিভি
এএইচএ