
ছবিঃ সংগৃহীত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে চীন তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, এই পদক্ষেপ আমেরিকার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এদিকে, হংকংয়ের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় (HKUST) হার্ভার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।
২০২৪ সালে হার্ভার্ডে মোট ৬,৭০৩ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল, যার মধ্যে ১,২০৩ জনই ছিলেন চীন থেকে। এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসার পরপরই এটি চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি প্রশ্ন তোলে, “এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা কি এখনো বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য?”
সিসিটিভির এক মন্তব্যে বলা হয়, “যখন নীতিগত অনিশ্চয়তা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, তখন শিক্ষার্থীদের বিকল্প চিন্তা করা ছাড়া উপায় থাকে না।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “মার্কিন পক্ষের এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু তাদের নিজেরই আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করবে।” তিনি আরও বলেন, “চীন তার শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এদিকে হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টি হার্ভার্ডে পড়াশোনা করা ও সদ্য ভর্তি পাওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘নির্বিধায় ভর্তি’ এবং ‘সহজীকৃত প্রক্রিয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক সহায়তা সহ সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।
এ নিয়েও চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মজার মন্তব্য দেখা গেছে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, হার্ভার্ডের চীনা নামের সঙ্গে মিল আছে এমন শহর হারবিনে হার্ভার্ডের একটি শাখা খোলা হোক!
উল্লেখ্য, বিদেশে চীনা শিক্ষার্থীদের পাঠানো দীর্ঘদিন ধরেই চীন-মার্কিন সম্পর্কে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই চীন সতর্ক করেছিল যে, মার্কিন ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে এবং ভিসার মেয়াদ কমে আসছে। এমনকি গত বছরও বেশ কিছু চীনা শিক্ষার্থীকে আমেরিকার বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেশে ফিরিয়ে পাঠানো হয়েছিল।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রায়ই আমেরিকায় বন্দুক হিংসা ও সামাজিক অনিশ্চয়তার খবর প্রচার করে থাকে, যা অনেক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্য কিংবা অন্যান্য দেশে পড়াশোনার দিকে ঝুঁকতে প্রভাবিত করছে।
মারিয়া