
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে আলোচনার জন্য ভ্যাটিকানকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দিলেও, তা 'অশোভন' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাশিয়ার এক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে দুই ঘণ্টার ‘চমৎকার’ ফোনালাপের পর তিনি ভ্যাটিকানে শান্তি আলোচনা আয়োজনের কথা বলেছেন।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভ্যাটিকানকে আলোচনার ভেন্যু হিসেবে মানা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। শুক্রবার রুশ সংবাদ সংস্থা রויטার্সকে তিনি বলেন, "ভ্যাটিকানকে আলোচনার জায়গা হিসেবে কল্পনা করুন দুটি অর্থোডক্স দেশের জন্য এটি যথেষ্ট অস্বস্তিকর এবং অশোভন হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বিষয়টি ভ্যাটিকানকেও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে। এটি কোনও বাস্তবিক প্রস্তাব নয়, বরং কল্পনার ফানুস।"
উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর তিন বছরের মধ্যে চলতি মাসেই প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্বয়ং পুতিন, তবে তিনি নিজে আলোচনায় অংশ নেননি, পাঠিয়েছিলেন নিম্নস্তরের একটি প্রতিনিধি দল।
অন্যদিকে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন। যদিও দায়িত্ব নেওয়ার ১০০ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতিতেও সম্মত হয়নি রাশিয়া।
এদিকে লাভরভ শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর ফের কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, রাশিয়ানভাষীদের জেলেনস্কির ‘জুন্টা’ সরকারের অধীনে রাখা হবে ‘অপরাধ’।
তবে ইউক্রেন সরকার বারবারই বলে আসছে, তারা রাশিয়ানভাষীদের কোনও ধরনের বৈষম্যের শিকার করছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, ভ্যাটিকানে আলোচনা অনুষ্ঠিত হলে তা প্রতীকী গুরুত্ব বহন করত। কিন্তু রাশিয়ার এই 'ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা' শান্তির পথ আরও কঠিন করে তুলছে।
পোপ এখনও এই প্রস্তাবে সায় দেননি। ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি এখনো “নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নয়।”
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমন সময় এই বিতর্ক সামনে এলো, যখন হাজারো মানুষ শান্তির আশায় দিন গুনছে।
মিমিয়া