
ছবি: সংগৃহীত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক নীতির কারণে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকটাড (UNCTAD)-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন আশঙ্কার চিত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানি সক্ষমতাকে বিশেষ করে পোশাক ও কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে চাপে ফেলবে। ফলে বিশ্ববাণিজ্যে বৈষম্য আরও গভীর হবে এবং বাংলাদেশের মতো রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিগুলো সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হলেও, সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কার মুখে পড়তে পারে। UNCTAD-এর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র ০.৩ শতাংশের জন্য দায়ী এসব উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এখন ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের সম্ভাব্য বোঝা বইতে হতে পারে।
যদিও শুল্ক কার্যকরে ৯০ দিনের একটি স্থগিতাদেশ অর্থনীতিকে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো কঠিন হবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই শুল্ক কাঠামো স্থায়ী রূপ পায়, তাহলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হতে পারে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানিতেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।
এই অবস্থায় রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিগুলোর জন্য মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার রক্ষা করা ও বিকল্প বাজার খোঁজা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
নুসরাত