
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায় পৌর বাজারের ১ কিলোমিটার দক্ষিণে ৬ নং ওয়ার্ডে নির্মিত নান্দনিক মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ ২০২১ সাথে শুরু হয়েছিল। ২০২৫ সালে এসে কাজ প্রায় শেষ দিকে, এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
মসজিদ মুসলমানদের জন্য সর্বোচ্চ উত্তম স্থান, শুধু এখানেই ভেদাভেদ ভুলে ধনী-গরীব পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আত্মঅহংকারের তোয়াক্কা না করে পরম বিশুদ্ধ কোমলপ্রাণে একসাথে রবের ঘরে রবের ইবাদাত করেন, পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাসের সাথেই মসজিদ এর ইতিহাসের সম্পর্ক। সে অর্থে মডেল মসজিদের সৌন্দর্যে আপনাকে অবশ্যই তৃপ্ত করবে, কেননা আধুনিক ডিজাইন এবং কারুকার্য শোভিত মনোমুগ্ধকর এই মসজিদ কমপ্লেক্সটি আবর বিশ্বের আদলে নির্মিত হয়েছে। তাই এলাকাবাসী উদ্বোধনের অপেক্ষায় মরিয়া।
মডেল মসজিদ ঠিকাদার নাসির বলেন, মসজিদের ভেতরের কাজ সম্পূর্ণ শেষ, শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ বাকি। আশা করছি, কোরবানির ঈদের পরই উদ্বোধন করা হবে, তবে তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের কাজ দেরি হওয়ায় কারণ হলো পুকুরের ভেতরে পানি সেঁচে কাজ করা হয়েছে এবং এখনো একটা গাইড ওয়াল নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো আমাদের বাজেটের বাইরে এবং কিছু দিন আগে সরকারি রাস্তার কাজ হওয়ায় তখন মালামাল আনায় সমস্যা ছিলো।
আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের মডেল মসজিদ তৈরি করার জন্য ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার টাকা বাজেট করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন থানায় এই মসজিদ উদ্বোধন হয়ে গেছে, অথচ আমাদের মসজিদ এখনো উদ্বোধন হয়নি। কোথায় আমাদের সেই মসজিদ তৈরি হইতেছে, চাটখিলের লোকেরা অনেকেই সেটা জানেই না। যাদের কারণে আমাদের এই মডেল মসজিদের কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ হতে পারেনি, যেরকম হওয়ার কথা ছিল সে রকম হয়নি এবং যারা এই বাজেটের টাকার দুর্নীতি করেছে, এই মসজিদের সাথে দুর্নীতি করেছে, যারা এতোদিন চাটখিলকে ইসলামের আলো থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে এবং চাটখিলকে ১০০ বছর পিছিয়েছে, আল্লাহ যেন তাদেরকে দুনিয়ায় ও আখেরাতে এর বিচার করেন।
মসজিদ প্রতিবেশী মোঃ সাহেদ বলেন, মডেল মসজিদের তো ৯০% কাজ হয়েছে, তবে কিছু কিছু জায়গায় পানি ঘামায়। তার মানে কাজ কিছু কিছু জায়গায় ভালো হয়নি, বাইরে কিছু কাজও বাকি মনে হয়। এ বছরেও উদ্বোধন হবে না, তবে এই মসজিদ আমাদের এলাকায় হওয়ায় আমাদের পরিচয় সহজ হয়েছে।
ইসমাইল হোসেন সজীব/রাকিব