
ছবি: সংগৃহীত।
নিশ্চিতভাবে ধূমপান ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদি ধূমপানের ফলে ফুসফুসে জমে থাকা টক্সিন ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস, এমনকি ফুসফুস ক্যান্সারের মতো রোগের জন্ম দেয়। তবে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা নানা কারণে এখনই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না।
তাই এই ফিচারে তুলে ধরা হয়েছে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও সচেতনতা, যা ধূমপান করেও অন্তত ফুসফুসকে কিছুটা ভালো রাখার পথে সহায়তা করতে পারে।
ধূমপান করেও ফুসফুস ভালো রাখবেন যেভাবে
১. নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যায়াম করুন
‘প্রাণায়াম’ বা ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া ও মুখ দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস রাখলে ফুসফুসে জমে থাকা দূষিত বায়ু বাইরে আসতে পারে।
২. স্টিম থেরাপি বা গরম পানির ভাপ নিন
ফুসফুস পরিষ্কারে সাহায্য করে স্টিম থেরাপি। এক বাটি গরম পানির ভাপ নাক ও মুখ দিয়ে নিতে পারেন দিনে একবার। এতে শ্বাসনালির জমে থাকা মিউকাস ঢিলে হয়ে বেরিয়ে আসে।
৩. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার গ্রহণ করুন
ধূমপান ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করে। তাই আদা, হলুদ, রসুন, গ্রিন টি, বেসিল পাতা (তুলসী), ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার (যেমন মাছ, বাদাম) খেলে ফুসফুসের প্রদাহ কমতে পারে।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান ও হাইড্রেশন বজায় রাখুন
শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে মিউকাস ঘন হয়ে ফুসফুসে জমে থাকে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে মিউকাস পাতলা হয় এবং সহজে বেরিয়ে যায়।
৫. ধুলাবালি ও দূষণ থেকে বাঁচুন
ধূমপানের সঙ্গে যদি বায়ুদূষণও যুক্ত হয়, তবে ফুসফুসের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই বাইরের ধুলাবালিতে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং গাছপালা ঘেরা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
৬. ধূমপান ও খালি পেটে থাকা একসাথে নয়
খালি পেটে ধূমপান ফুসফুস ও পাকস্থলির জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর। এটি অ্যাসিডিটি ও শ্বাসনালিতে জ্বালাভাব বাড়ায়।
এই পরামর্শগুলো ধূমপানের ক্ষতি পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারবে না, তবে কিছুটা হলেও ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। ধূমপান ছাড়াই ফুসফুস পুরোপুরি ভালো রাখা সম্ভব—তাই শেষ পর্যন্ত এই অভ্যাস ছাড়ার দিকেই এগিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার ফুসফুস—আপনার নিঃশ্বাসের নিরাপত্তা। তাকে গুরুত্ব দিন।
নুসরাত