
ছবি: প্রতীকী
দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আগামী জুলাই মাস থেকে সারা দেশে চালু হতে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা, যার আওতায় ১৭টি আধুনিক সেবা পাবে সাধারণ জনগণ। এ লক্ষ্যে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ নামে একটি প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একই সঙ্গে ভূমির মালিকানা প্রমাণে একাধিক দলিলপত্রের পরিবর্তে চালু হচ্ছে একটি মাত্র দলিল—ভূমি মালিকানা সনদ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ’।
এক ভিডিও বার্তায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আইনজীবী তৌফিক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। নানা ধরনের জটিল দলিলপত্র, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে ব্যাপকহারে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও জনবান্ধব করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, মূলত চারটি সেবাকে কেন্দ্রে রেখে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে—অনলাইন মিউটেশন, অনলাইন পর্চা, অনলাইন ম্যাপ এবং অনলাইন ভূমি মালিকানা সনদ। তিনি বলেন, এই সেবাগুলোকে জনবান্ধব করার জন্য অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এই অটোমেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জনগণ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ, হাটবাজার ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে ভূমি অধিগ্রহণ পর্যন্ত সব ধরনের সেবা অনলাইনের মাধ্যমে পাবে। এর ফলে ভূমি সংক্রান্ত নানা ধরনের হয়রানি যেমন কমবে, তেমনি সেবা সহজলভ্য হবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্যও।
এই ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নাগরিকদের আর দালালের পেছনে ঘুরতে হবে না, বরং ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল সেবা পাওয়া যাবে।
সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন যুগের সূচনা হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Mt6NbzdqXPI
রাকিব