
ছবিঃ হিন্দুস্তান টাইমস
রাজস্থানের বিকানেরে এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, "সিঁদুর যখন বারুদে পরিণত হয়, তখন কী হয় তা বিশ্ব ও দেশের শত্রুরা দেখে ফেলেছে।" তিনি জানিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও বাণিজ্য বা আলোচনা হবে না, একমাত্র আলোচ্য বিষয় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর।
তিনি বলেন, "মোদি ঠান্ডা মস্তিষ্কের হলেও তার রক্ত গরম। এখন আর রক্ত নয়, মোদির শিরায় গরম সিঁদুর বইছে।" মোদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রতিটি জঙ্গি হামলার চড়া মূল্য পাকিস্তানকে দিতে হবে — তা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও অর্থনীতির ওপরই পড়বে।
তিনি জানান, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন, যা ২৬/১১-র পর সবচেয়ে বড় বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা। এর জবাবেই ৭ মে ভোরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। কমপক্ষে ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়।
মোদি বলেন, "এটা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের খেলা নয়, এটা নতুন ভারতের নতুন বিচার ব্যবস্থা — অপারেশন সিঁদুর।" তিনি দাবি করেন, "যারা ২২ এপ্রিল হামলা করেছিল, তাদের ঘাঁটি ২২ মিনিটেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।"
তিনি ভারতের নতুন সন্ত্রাস বিরোধী নীতি স্পষ্ট করেন:
1. যেকোনো হামলার উপযুক্ত জবাব দেবে ভারত – সময়, স্থান ও কৌশল নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী।
2. পরমাণু হুমকিকে ভয় পাবে না ভারত।
3. সন্ত্রাসবাদী ও তাদের মদতদাতা রাষ্ট্রের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হবে না।
তিনি জানান, পাকিস্তানের কোনো বিমান ঘাঁটি (রহিম ইয়ার খান) কার্যত ‘আইসিইউতে’, আর ভারতের বিকানেরের নল ঘাঁটি নিরাপদ।
মোদি আবারও স্পষ্ট করেন, "পাকিস্তান ভারতের একফোঁটা জলও পাবে না। কোনও আলোচনা হবে না, কেবল পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কথা হবে।"
তিনি বলেন, "পাকিস্তান যদি জঙ্গি রপ্তানি বন্ধ না করে, তবে প্রতিটি পয়সার জন্য ভিক্ষা করতে হবে। ভারতের রক্ত নিয়ে খেললে তার মূল্য দিতে হবে।"
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, “খালি বক্তৃতা বন্ধ করুন। বলুন তো, কেন পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিষয়ক বক্তব্যে বিশ্বাস করেছিলেন? কেন ট্রাম্পের সামনে ভারতের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছিলেন? শুধু ক্যামেরার সামনেই কি আপনার রক্ত গরম হয়?”
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মুমু