
মানিকগঞ্জ পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী। বাসাবাড়িতে আসা পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দেখা দিয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও সুপেয় পানি না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার আওতাভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় পানির লাইনে সুপেয় পানির পরিবর্তে আসছে দুর্গন্ধযুক্ত ও ময়লাযুক্ত পানি। এই পানি রান্না, পরিষ্কার বা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারেরও অযোগ্য বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, পৌরসভার আওতায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার নাগরিক এই পানির সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তারা সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ।
৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব দাশড়া এলাকার বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, “আমরা নিয়মিত পৌর ভ্যাট ও বিল পরিশোধ করি। কিন্তু পরিষ্কার পানি তো দূরের কথা, যে পানি আসে তা ব্যবহার করাও যায় না। মাসে মাসে বিল দিচ্ছি, অথচ ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না।”
একই অভিযোগ করে পশ্চিম দাশরা এলাকার স্বপ্না বলেন, “অনেকদিন ধরে ময়লা পানি আসছে। শেষ কবে পরিষ্কার পানি পেয়েছি তা মনে নেই। অথচ বিল সময়মতো পরিশোধ করছি। একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সাড়া পাইনি।”
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস।
তিনি বলেন, “নাগরিকদের সুপেয় পানি পাওয়া মৌলিক অধিকার। পৌরসভার দায়িত্ব হলো সে অধিকার নিশ্চিত করা। মাসে মাসে বিল দিয়েও যদি মানুষ ময়লা পানি পায়, তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।”
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক সানজিদা জেসমিন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোথাও যদি ময়লা পানি আসে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, মানবিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার প্রশ্নে সুপেয় পানি সরবরাহ একটি অপরিহার্য সেবা। পৌরসভার এই অব্যবস্থাপনার দ্রুত সমাধান না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সজিব