
বাগেরহাটের চিতলমারীতে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস কুমার তালুকদারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রশিক্ষণে অংশ না নিয়েও ভাতা দাবি করায় এবং সেটি না মেটানোয় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে দুপুরে চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসে ক্লাস্টার পর্যায়ের এক প্রশিক্ষণের ভাতা বিতরণ চলাকালে শ্যামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাফায়েত হোসেন অফিসকক্ষে প্রবেশ করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, “আপনাকে দেখে নেব,” এবং পরে সরাসরি লাঞ্ছিত করেন তাকে। উপস্থিত শিক্ষকরা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেন।
ঘটনার পর চিতলমারীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ—মুকুল কিশোর মজুমদার, ইব্রাহিম ফকির, কাজী কামরুল ইসলাম, খোকন কুমার মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষক সাফায়েত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দাপটপূর্ণ আচরণ করে আসছেন। তিনি বিদ্যালয়ে অনিয়মিত উপস্থিত থাকেন, সহকর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করেন এবং বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায়ে জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, এর আগে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের কারণে সাফায়েত হোসেনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছিল। তাঁকে এখন চিতলমারী উপজেলা থেকে বদলির জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষক সাফায়েত হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছেন, এবং এ ঘটনার মাধ্যমে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমাজ।
এসএফ