
ছবি: প্রতীকী
দেশের কৃষিখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খানের উদ্ভাবিত ন্যানো ইউরিয়া সার। দীর্ঘ সাত বছরের গবেষণার ফসল এই উদ্ভাবন কৃষকদের ইউরিয়া সারের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে, বলে দাবি করেছেন উদ্ভাবক।
ড. জাভেদ জানান, ‘৫০ কেজি ইউরিয়ার সমমানের কাজ করে মাত্র ৫০০ এমএল ন্যানো ইউরিয়া লিকুইড। আমরা এটি গাজীপুর, বগুড়া ও যশোরের বিভিন্ন কৃষকের কাছে সরবরাহ করেছি। তারা এটি কীটনাশকের মতো স্প্রে করে ব্যবহার করছেন এবং ফলন বাড়ার পাশাপাশি খরচ কমার অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন।’
গবেষক দলের দাবি, সাধারণত একটি বিঘা জমিতে ইউরিয়া সারের জন্য যেখানে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতো, সেখানে ন্যানো ইউরিয়ার ক্ষেত্রে মাত্র ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় সেই জমি চাষ করা সম্ভব হয়েছে।
একজন কৃষক বলেন, বাজারের ইউরিয়া দিলে গাছ পড়ে যেত, কিন্তু ন্যানো ইউরিয়া ব্যবহারে ধান পড়ে না, গাছ শক্ত থাকে এবং ফলনও বেশি হয়।
নতুন এই সার শুধু খরচ কমায় না, এটি পরিবেশ দূষণও হ্রাস করে বলে জানিয়েছেন ড. জাভেদ। তবে, এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে প্যাটেন্ট না পাওয়ার কারণে উদ্ভাবনটি স্বীকৃতি পাচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
ন্যানো ইউরিয়ার পাশাপাশি ড. জাভেদের গবেষণা টিম ইতোমধ্যে ন্যানো ডিএসপি সার, ন্যানো এনপিএস সার, ন্যানো কসমেটিক, ন্যানো ফিশ ফিড, ন্যানো অগ্নি প্রতিরোধী রংসহ মোট নয় ধরনের পণ্য উদ্ভাবন করেছেন। এসব পণ্য বাজারজাত হলে দেশের কৃষি ও শিল্প খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=h_0hcDOkWNw&t=11s
রাকিব