
৬০ বছর পর বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ত্যাগ করছেন ওয়ারেন বাফেট, বিতর্কের মাঝে ডাবোস ছাড়লেন ক্লাউস শ্যাব, পোপ নির্বাচনে চলছে শতাব্দী পুরনো প্রথা-নেতৃত্ব বদলের তিন ভিন্ন গল্পে ভবিষ্যতের দিশা।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কর্ণধার ওয়ারেন বাফেট যখন ৬০ বছরের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের ইতি টানতে চলেছেন, তখন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শ্যাব বিতর্কের মুখে হঠাৎ পদত্যাগ করে সবাইকে চমকে দেন। একই সময়ে, ভ্যাটিকানে শুরু হয়েছে শতাব্দী পুরনো পোপ নির্বাচনের গোপনীয় কনক্লেভ, যেখানে পরবর্তী ক্যাথলিক ধর্মগুরু নির্বাচিত হবেন।
একজন নেতা কেমনভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষা করেন, এবং অংশীজনদের (stakeholders) পরিচালনা করেন, তার উপরই নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ।
১. ক্ষমতা হস্তান্তরের রীতি ও বাস্তবায়ন
ওয়ারেন বাফেট ধাপে ধাপে তার দায়িত্ব ভাগ করে দিচ্ছেন নির্ধারিত উত্তরসূরিদের মধ্যে। এতে একদিকে যেমন উত্তরাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের আস্থা বজায় থাকছে।
২. সংস্কৃতি রক্ষা ও রূপান্তর
ভ্যাটিকানের কনক্লেভ পদ্ধতি শত শত বছর ধরে ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষা করে চলছে। এই রীতির মধ্যে রয়েছে দৃঢ় সংস্কৃতি, যা পরিবর্তনের মধ্যেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
৩. অংশীজনদের পরিচালনা ও প্রত্যাশা ম্যানেজমেন্ট
অন্যদিকে, ক্লাউস শ্যাবের হঠাৎ পদত্যাগ অনেক প্রশ্ন তুলেছে, কারণ তার উত্তরসূরি এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা স্পষ্ট নয়। এতে করে বিশ্ব অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ফোরামটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও গতিপথ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নেতৃত্ব বদল শুধুমাত্র প্রশাসনিক বা আর্থিক বিষয় নয়, এটি এক বিশাল মানসিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। যাদের কাছে এই বিষয়গুলো গৌণ মনে হয়, তারাই ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে।
এই তিনটি কাহিনি আমাদের শেখায়, উত্তরসূরি নির্বাচন শুধু একটি নাম বেছে নেওয়ার ব্যাপার নয়—এটি একটি পরিকল্পিত, অনুভূতিপূর্ণ এবং দৃষ্টিভঙ্গিমূলক যাত্রা।
সায়মা