ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যমুনা চরাঞ্চলে প্রস্তুত কোরবানির গরু-ছাগল

সুমন কুমার সাহা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সারিয়াকান্দি, বগুড়া

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১০:৫৮, ২৩ মে ২০২৫

যমুনা চরাঞ্চলে প্রস্তুত কোরবানির গরু-ছাগল

ছবি: জনকন্ঠ

বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা চরাঞ্চলে প্রত্যেক বাড়িতে কোরবানির জন্য দেশি গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। চরাঞ্চলের চারণভূমিতে ঘাস খেয়ে প্রকৃতিক পদ্ধতিতে বেড়ে উঠেছে এসব দেশি গরু- ছাগল। চরের বাসিন্দারা এসব কোরবানির পশুর শেষ পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ।

প্রতিটি বাড়িতেই দুইটি থেকে শুরু করে ১২টি পর্যন্ত বা তার বেশি কোরবানির গরু রয়েছে। আর এসব গরুর দেখাশোনার দায়িত্ব বেশিরভাগ বাড়ির গৃহিণীর উপর থাকেন। গৃহকর্তারা শুধু মাঠ থেকে ঘাস নিয়ে আসেন। চরের এসব দেশি গরুর প্রধান খাবার ঘাস হলেও সাথে সামান্য ধান ও চালের কুড়া ও ভূষি খাওয়ানো হয়। এতে চরাঞ্চলে গরু-ছাগল পালনে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হয়, তাই পশু পালন করে চরবাসী বেশ লাভবান হচ্ছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাজলা কুড়িপাড়া গ্রামের সিদ্দিক বেপারির গরু এ চরের মধ্যে সবচেয়ে বড়। গত বছর কোরবানির ঈদের পর তিনি দেড় লাখ টাকায় লাল রংয়ের গরু কিনেছিলেন। পাইকাররা তার একটি গরু তিন লাখ টাকা দাম করে গেছেন। সাড়ে তিন লাখ টাকা হলে তিনি গরুটি বিক্রি করবেন। তার গোয়ালে আরও চারটি কুরবানির দেশি গরু প্রস্তুত হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় এ বছর কোরবানির চাহিদা ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার পশু। এরমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে ৭ হাজার ৬২০টি পশু। এগুলোর মধ্যে গরু চার হাজার ৩৮০টি, মহিষ ৮৪০টি, ছাগল দুই হাজার ১৫০টি এবং ভেড়া ২৫০টি। অর্থাৎ কোরবানির চাহিদার তুলনায় মোট এক হাজার ১২০টি পশু বেশি রয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কাওসার হোসাইন জানান, এ উপজেলার যমুনা এবং বাঙালি নদীর বিশালাকার চারণভূমি থাকায় সেখানে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই কোরবানির দেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ গরুগুলো একেবারেই জৈবিক পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মুমু

×