ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চলুন জানা যাক, গাজায় একদিনে কী ঘটে গেল

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৩ মে ২০২৫

চলুন জানা যাক, গাজায় একদিনে কী ঘটে গেল

ছবি আলজাজিরা

গাজা উপত্যকায় আজও ছিল রক্ত, ধ্বংস আর আতঙ্কের দিন। সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয় ইস্রায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের তীব্র হামলা। সারা দিন ধরে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যার মধ্যে ছিল হাসপাতালের পাশের আবাসিক ভবন, বাজার ও স্কুল।

এই একদিনেই ইস্রায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয় উত্তর গাজার জাবালিয়ায়। সেখানে একটি ভবন ধসে পড়ে, যার নিচে এখনও প্রায় ৫০ জন মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শিশুদের কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার ভাষ্য, গত কয়েক দিনে যে অল্পসংখ্যক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করেছে, তা এই বিপর্যয়ের তুলনায় কিছুই নয়। তাঁরা বলছেন, অবরোধ না তুলে দিলে সহায়তা পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এদিকে গাজার বাইরেও থেমে থাকেনি উত্তেজনা। দক্ষিণ লেবাননের তৌল শহরে চালানো ইস্রায়েলি বিমান হামলায় ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে ডজন খানেক ইহুদি বসতি স্থাপনকারী, যাদের পুলিশি নিরাপত্তা ছিল, যা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানকে কেন্দ্র করে নতুন করে ক্ষোভ উসকে দেয়।

এছাড়াও গাজা থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আটক হওয়া ফিলিস্তিনি যুবক আমর হাতেম ওদেহ মারা গেছেন ইস্রায়েলের স্দে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, ওই ঘাঁটিতে চলছে বন্দিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা।

এই একদিনে গাজা ও আশপাশের এলাকাগুলোতে যা ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে মানবিক বিপর্যয়ের নতুন মাত্রা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—এই বেদনার শেষ কোথায়?

এসএফ

×