
ছবি: জনকণ্ঠ
নদী উদ্ধারের নামে জন হয়রানি বন্ধের দাবিতে নেত্রকোনা জেলা সদরের মগড়া নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার পুরাতন কালেক্টরেট চত্বরে থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপি পেশ করা হয় স্থানীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে।
জানা গেছে, মগড়া নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকার পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা সকাল ১০টায় শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বরে জড়ো হয়ে প্রথমে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন এবিএম আব্দুল হাদী ফরাজী, নাজমুশ শাহাদৎ নাজু, তানভীর জাহান চৌধুরী ও খালেদ সাইফুল্লাহ মুন্না প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, গত সরকারের আমলে ভূমি প্রশাসন আইনি প্রক্রিয়ায় নদীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে। কিন্তু চলতি মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মচারী বিনা নোটিশে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে গিয়ে সিএস নকশা মোতাবেক পুনরায় সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করলে জনমনে ‘উচ্ছেদ আতঙ্ক’ সৃষ্টি হয়। এ সময় কর্মচারীদের কাছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইলে কিছুই দেখাতে পারেননি।
নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিএস রেকর্ড অনেক পুরনো। ভূমি প্রশাসন এখন সিএস রেকর্ডের পরিবর্তে বিআরএস রেকর্ড অনুসরণ করে খাজনা আদায় এবং জমা খারিজ করে। তাছাড়া বিআরএস রেকর্ড অনুসরণ করেই জমি কেনাবেচা ও সম্পাদন করা হয়। সে রীতি অনুসরণ করে ইতিমধ্যে অনেক জমি হাতবদল হয়েছে। তাই বিআরএস ব্যতিরেকে সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হলে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা হয়রানির শিকার হবেন। অনেকে বৈধ জায়গা-জমি হারাবেন।
সমাবেশের পর বিক্ষোভকারীরা মিছিলসহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
শহীদ