
ছবি: সংগৃহীত
দুবাই হেলথ-এর ১,৪০০–এর বেশি নার্সকে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও অটল প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানজনক ইউএই গোল্ডেন ভিসা প্রদান করা হয়েছে। এই নার্সদের জন্য এই ভিসা কেবল একটি কাগজপত্র নয়—এটি তাদের আত্মিকভাবে যুক্ত থাকার অনুভূতি, নিরাপত্তা এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতার প্রতীক।
নার্সদের জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি আবাসন কর্মসূচিটি চালু করা হয়েছে দুবাইয়ের যুবরাজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের নির্দেশনায়।
লতিফা হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স কারমিনা আগুইলার ১৯৯৮ সালে দুবাইয়ে আসেন। তিনি প্রায় ২৭ বছর ধরে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (NICU) কাজ করছেন এবং এখনো মনে করতে পারেন প্রথমবার ফিলিপাইন ছেড়ে আসার সেই স্নায়ুবিক মুহূর্তগুলো।
তিনি বলেন, “এই সম্মান পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। যখন আমি এই সুসংবাদটি শুনলাম, আমি খুবই উত্তেজিত হয়েছিলাম। আমার ২৭ বছরের সেবার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার আমার কাছে অনেক বড় কিছু।”
কারমিনার জন্য নার্সিং ছিল শুরুতে তার মায়ের স্বপ্ন পূরণের পথ, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেটাই হয়ে উঠেছে তার জীবনের লক্ষ্য। “নার্সিং শুধুমাত্র চাকরির নিশ্চয়তা নয়, এটি মানুষকে সাহায্য করার এবং তাদের সবচেয়ে দুর্বল মুহূর্তগুলোতে সহানুভূতিপূর্ণ যত্ন দেওয়ার একটি সুযোগ।”
তিনি বিশ্বাস করেন, গোল্ডেন ভিসা তার মনে স্থায়ী প্রশান্তি এনে দেবে এবং তরুণ নার্সদের ইউএই-তে থেকে কাজ করে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে। “এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়; এটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবার অবদানের প্রতি যে সম্মান দেখানো হয়েছে, তারই প্রতিফলন।”
দুবাই হাসপাতালে কর্মরত সিনথিয়া আলেম স্ত্রেবল ১৯৯১ সাল থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন—৩৪ বছরের নিষ্ঠা, যার মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির সময় সামনের সারিতে কাজ করাও রয়েছে।
তিনি বলেন, “যখন জানতে পারলাম যে আমি গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছি, তখন আবেগে অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, অবশেষে আমার শ্রমের যথার্থ স্বীকৃতি পেলাম।”
সূত্র: https://www.khaleejtimes.com/life-and-living/visa-and-immigration-in-uae/dubai-nurses-thank-sheikh-hamdan-for-golden-visa
এএইচএ