
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নাম প্রকাশ করেছে 'জুলাই ঐক্য'। মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন শহিদ মুন্তাসির রহমান আলিফের বাবা গাজীউর রহমান।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, “আমরা আজ যে তালিকা প্রকাশ করেছি, এটি মূল তালিকার অংশবিশেষ মাত্র। প্রত্যেক আমলা ও ম্যাজিস্ট্রেটের অপরাধের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, আমরা এসব তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করব।”
সংগঠক প্লাবন তারিক বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে অনেক আমলা সুবিধা নিয়েছেন। কেউ সাতক্ষীরার ডিসি ছিলেন, যিনি নিজে বাড়িঘর ভেঙেছেন, ছিলেন আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থক। তারা আজও প্রশাসনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।”
তালিকায় থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা আন্দোলনের সময় গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। তারা বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে এবং শহিদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
জুলাই ঐক্য সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে—তালিকাভুক্ত সকল আমলাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া, তদন্ত কমিটি গঠন, অবৈধ সম্পদ জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। দাবি মানা না হলে ৩১ মে’র পর সচিবালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থানে থেকে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকার মধ্যে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার উজ্জল কুমার হালদার, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর অমিত কুমার সাহা, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শামসুজ্জাহান কনক, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার সোনিয়া হোসেন জিসান, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আফরিন জাহান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শরিফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার অংমাচিং মারমা, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সায়েম ইমরান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া আক্তার, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান রাসেল, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা।
আসিফ