
স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সেবা শুরু করেছে। প্যাকেজ দুটি হলো ‘স্টারলিংক রেসিডেন্স’ ও ‘রেসিডেন্স লাইট’। মাসিক খরচ একটিতে ৬,০০০ হাজার টাকা, অপরটিতে ৪,২০০ টাকা। তবে এই খরচের বাইরে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে একজন গ্রাহকের।
স্টারলিংক সংযোগ পেতে হলে, গ্রাহকদের প্রথমে স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (starlink.com) গিয়ে আগ্রহী গ্রাহক হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সংযোগ পাওয়া যায় কি-না, তা পরীক্ষা করতে ঠিকানা দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। এরপর একটি প্যাকেজ বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড কিটে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল। কিট হাতে পাওয়ার পর স্টারলিংক অ্যাপের মাধ্যমে সংযোগ সক্রিয় করতে হবে। স্টারলিংক সংযোগ নিয়ে ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা সন্তোষজনক মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
স্টারলিংক সংযোগের অর্ডার করতে প্রথমে স্টারলিংক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ঠিকানা লিখে বা কারেন্ট লোকেশন আইকনে ক্লিক করলেই অর্ডার নেওয়ার পেজে পেমেন্ট অপশন দেখা যাবে। এবার পছন্দের প্যাকেজ নির্বাচন করে চেক আউট বাটনে ক্লিক করার পর যোগাযোগের ঠিকানা ও স্থানীয় ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া পেমেন্টের বিস্তারিত তথ্য লিখে অর্ডার করতে হবে।
অর্ডার নেওয়ার সময় স্টারলিংক থেকে জানানো হচ্ছে, সেবা গ্রহণের জন্য ফটো আইডির কপি জমা দিতে হবে। ইন্টারনেট–সেবার রাউটার ও অন্যান্য যন্ত্র তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে দেবে স্টারলিংক। অর্ডারের জন্য স্টারলিংক স্ট্যান্ডার্ড কিট কেনার জন্য ৪৭ হাজার টাকা ও শিপিং চার্জ ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থাৎ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা জমা দিতে হবে। এ ছাড়া চাইলে স্টারলিংকের কাছ থেকে পিভট মাউন্ট, ওয়াল মাউন্ট বা পাইপ অ্যাডাপ্টরও কেনা যাবে। পণ্যগুলো কিনতে খরচ হবে যথাক্রমে ৬ হাজার ৭০০, ৫ হাজার ৯০০ ও ২ হাজার ৬০০ টাকা। সংযোগ চালুর পর প্রতি মাসে নির্ধারিত প্যাকেজ অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
ফুয়াদ