
ছবি: জনকণ্ঠ
এমসি (মেডিকেল সার্টিফিকেট) বাণিজ্যের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘মালি’ সোহেল মিয়াকে বদলী করা হয়েছে। আখাউড়া পৌরশহরের হেলাল মিয়ার কাছ থেকে এমসি দিতে ১০ হাজার টাকার নেওয়ার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা সিভিল সার্জন আজ (বুধবার)1 আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে বদলী করা হয়। বদলীর আদেশ পেয়ে আখাউড়া হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত বছরের শেষ দিকে পৌরশহরের হেলাল মিয়া তার স্ত্রী ও কন্যাসহ তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মামলার প্রয়োজনে হাসপাতালের এমসি (মেডিকেল সার্টিফিকেট) আনতে গেলে সোহেল মিয়া জখমের তথ্যসহ দ্রুত এমসি করিয়ে দিবে বলে ১০ হাজার টাকা নেন। পরে কথামত এমসি দিতে না পারায় সোহেল মিয়ার কাছে টাকা ফেরত চান সোহেল মিয়া। কিন্তু সোহেল মিয়া টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী হেলাল মিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়াও হাসপাতালের মালি সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে এমসি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এমসি নিতে গেলে কৌশলে রোগীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতো সোহেল মিয়া।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি সোহেল মিয়া আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মালি পদে যোগদান করেন। কিন্তু তিনি মালির দায়িত্ব পালন না করে প্রায় সময়ই জরুরী বিভাগে রোগীর ড্রেসিং, সেলাই ইত্যাদি কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে এমসি বাণিজ্যের দীর্ঘদিনের।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান বলেন, রোগী হেলাল মিয়ার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়ে সিভিল সার্জন কাছে পাঠাই। আজ সিভিল সার্জন মহোদয় সোহেল মিয়াকে আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ হাসপাতালে বদলীর আদেশ দিয়েছেন। দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছি।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, ভুক্তভোগী হেলাল মিয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোহেল মিয়াকে বদলী করা হয়েছে।
এসইউ