মঞ্চে আসছে এথিকের নয়া নাটক ‘সুড়ঙ্গ’

নাট্যপ্রেমীদের জন্য সুসংবাদ।  তাদের জন্য ঢাকার মঞ্চে আসছে একটি নতুন নাটক। সুড়ঙ্গ শিরোনামের প্রযোজনাটি মঞ্চে আনছে নাট্যদল এথিক। আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। বুধবার সন্ধ্যায় নাটকটির কারিগরি মঞ্চায়ন হয়। বরেণ্য কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সুড়ঙ্গ নাটক অবলম্বনে নির্মিত এথিকের চতুর্দশ প্রযোজনাটির নির্দেশনায় রয়েছেন মিন্টু সরদার। সহযোগী নির্দেশকের দায়িত্বে রয়েছেন মনি কানচন।  
প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক মিন্টু সরদার জনকণ্ঠকে বলেন, কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর নাটককে মঞ্চ নিয়ে আসার আনন্দটা অন্যরকম। এ ছাড়া নাটকটি এথিকের পূর্বে অন্য কোনো নাট্যদল মঞ্চে আনেনি। ওয়ালীউল্লাহর সুড়ঙ্গ নাটকটি পড়ার পর সেটি মঞ্চে আনা সহজ মনে হয়েছিল। কিন্তু মঞ্চরূপ দিতে গিয়ে অনুভব করেছি, এটি বেশ কঠিন। নিজের সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধার প্রয়োগে এটিকে মঞ্চ উপযোগী করে তুলেছি। শেষ পর্যন্ত নাটকটির মঞ্চায়নের পর এটির সফলতা কিংবা ব্যর্থতার বিচারের দায়িত্ব থাকবে দর্শকের ওপর।     
ধন-সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ চিরকাল। অন্যের সম্পদ নিজের করে নেওয়ার প্রবৃত্তি আদিকাল থেকে চলমান।  হোক তা বৈধ কি অবৈধ উপায়ে। হোক সে দূরের অথবা কাছের জন। প্রয়োজনে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সম্পদ ছিনিয়ে নিতেও দ্বিধা করে না মানুষ। কিন্তু সম্পদ কি সবাইকে সব সময় ধরা দেয়? গুপ্তধন কি জোটে সবার ভাগ্যে? এমনই বিষয় ফুটে উঠেছে নাটকে এক ষোড়শী কন্যার কৌতূহলী ভাবনার জগতের ভেতর দিয়ে।

নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে রাবেয়াকে ঘিরে। দু’দিন পর তার বিয়ে অথচ  সে বিছানায় শয্যা নিয়েছে। ডাক্তার-হেকিম সকলে চেষ্ট্ াকরেও তার অসুখ ধরতে পারেন না। এদিকে মাতৃহারা মেয়ের দুশ্চিন্তায় বাবা রেজ্জাক সরদার উদ্বিগ্ন। মুশকিল আসান হয়ে অবশেষে এলো এক ফকির বাবা। যাকে দেখে রাবেয়া অবাক। কিন্তু রহস্য না ভাঙতে রাবেয়া তৎপর।

যে রহস্যের রোমাঞ্চে নিজের বিয়ের আয়োজন উপেক্ষা করে অসুস্থতার ভান ধরে ঘরে পড়ে আছে। দুদিন ধরে শুয়ে শুয়ে শুনছে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার শব্দ। মাটির নিচের অন্ধকারের রহস্য ভেদ করে ধীরে ধীরে তার ঘরে এগিয়ে আসছে এক রহস্যমানব। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় অবশেষে সকলেই মুখোমুখি হয় এক কঠিন সত্যের।
দারুণ মজার ও হাসির এই নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আফনান অপ্সরা, মনি কানচন, সুকর্ন হাসান, প্রদীপ কুমার, আজিম উদ্দিন, নাহিদ মুন্না,  রেজিনা আক্তার রুনি, ঊর্মি আহমেদ, দিপান্বীতা রায়, রনুবেল খানসহ অনেকে। নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাইফুল ইসলাম। ঠান্ডু রায়হানের আলোক পরিকল্পনায় পোশাক পরিকল্পনা করেছেন শুভাশীস দত্ত তন্ময়। আবহ সংগীত করেছেন শিশির রহমান। কোরিওগ্রাফিতে আছেন এম আর ওয়াসেক।