ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আবারও ‘পোলিওর প্রাদুর্ভাব’: পাপুয়া নিউগিনিতে শনাক্ত হলো টাইপ-২ ভাইরাস

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২১ মে ২০২৫

আবারও ‘পোলিওর প্রাদুর্ভাব’: পাপুয়া নিউগিনিতে শনাক্ত হলো টাইপ-২ ভাইরাস

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, পাপুয়া নিউগিনিতে আবারও পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ৯ মে, দেশটির দুটি সুস্থ শিশুর মল পরীক্ষায় ভ্যাকসিন-জাত পোলিওভাইরাস টাইপ-২ (cVDPV2) ধরা পড়েছে। বিষয়টিকে WHO ‘পোলিওর প্রাদুর্ভাব’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, সুস্থ শিশুর শরীর থেকেও এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুতর ইঙ্গিত। তারা এটিকে ‘সিরিয়াস পাবলিক হেলথ ইভেন্ট’ বা মারাত্মক জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছে।

পোলিওর বন্য ধরন (Wild poliovirus) বর্তমানে কেবল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেই স্থানীয়ভাবে বিদ্যমান, তবে ভ্যাকসিন-উৎসরিত পোলিও বিভিন্ন দেশে মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব ঘটাচ্ছে। চলতি বছর নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়াসহ একাধিক দেশে পোলিওজনিত পক্ষঘাতের একাধিক ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে।

পাপুয়া নিউগিনিতে এটি ২০১৮ সালের পর প্রথম পোলিওর সংক্রমণ। আশ্চর্যের বিষয়, তখনও সংক্রমণ ঘটেছিল ঠিক একই এলাকায়, মোরোবে প্রদেশের লায়ে শহরে।

WHO জানিয়েছে, পোলিওর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা পেতে তিনটি ডোজ টিকা প্রয়োজন হলেও পাপুয়া নিউগিনিতে মাত্র ৪৪% শিশু এই তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে। তাই এই প্রাদুর্ভাব রোধে টিকাদান কার্যক্রম বাড়ানো এবং ভাইরাসটির বিস্তার সনাক্তে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

পোলিও ভাইরাস কী?

পোলিও বা পোলিওমেলাইটিস, একটি অতি সংক্রামক ভাইরাস যা মূলত মলদ্বার ও মুখ দিয়ে (fecal-oral route) শরীরে প্রবেশ করে। এটি শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে পক্ষাঘাত ও এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সমস্যা হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস কোনো উপসর্গ ছাড়াই শরীরে সুপ্ত থাকে, যা এর বিস্তার রোধে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই কার্যকর টিকাদান এবং সচেতনতা না বাড়ালে পাপুয়া নিউগিনিতে পোলিওর বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে।

 

সূত্র: রয়টার্স

রাকিব

আরো পড়ুন  

×