
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, তিনি এখন পর্যন্ত যে সংখ্যক ভিসা বাতিল করেছেন তা সম্ভবত হাজার ছাড়িয়ে গেছে, এবং তিনি মনে করেন এই প্রক্রিয়ায় এখনও অনেক কিছু বাকি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) তিনি এসব জানান। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের অংশ হিসেবে ব্যাপক হারে ডিপোর্টেশন (দেশত্যাগে বাধ্য করা) এবং ছাত্র ভিসা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে তার কঠোর অভিবাসন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সেনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক বরাদ্দ উপকমিটিতে রুবিও বলেন, “সর্বশেষ সংখ্যা আমি জানি না, তবে আমরা সম্ভবত আরও অনেক কিছু করতে যাচ্ছি।”
প্রত্যাশিত ভিসা বাতিলের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা এখন সম্ভবত হাজারের কাছাকাছি বা তার চেয়েও বেশি,” যা মার্চ মাসের তুলনায় অনেক বেশি। মার্চে তিনি জানিয়েছিলেন, তখন পর্যন্ত ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
রুবিও জানান, ওই ৩০০ ভিসার মধ্যে ছাত্র এবং ভ্রমণ ভিসা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রতিটি ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তে তিনি নিজেই স্বাক্ষর করেছেন।
তিনি বলেন, “ভিসা কোনো অধিকার নয়, এটি একটি সুবিধা।”
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানান বা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন, তাদের - এমনকি ছাত্র ভিসা ও গ্রিনকার্ডধারীদেরও - জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতির জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব কার্যকলাপকে তারা হামাসপন্থী হিসেবে দেখছে।
ট্রাম্পের সমালোচকরা একে মার্কিন সংবিধানের ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে অভিহিত করেছেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জেফ মার্কলি রুবিওকে বলেন, “আমি জানি, এটি শেষ পর্যন্ত আদালতে নির্ধারিত হবে। কিন্তু একজন ব্যক্তি যদি কেবল তার কল্পিত ভবিষ্যৎ আশঙ্কার ভিত্তিতে কারও ভিসা বাতিল করতে পারেন, তাহলে সেটা ‘ডিউ প্রসেস’-এর (ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া) চরম লঙ্ঘন।”
এই মাসের শুরুতে, টাফটস ইউনিভার্সিটির এক তুর্কি ছাত্রী রুমেইসা ওজতুর্ককে গাজায় যুদ্ধ নিয়ে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনায় লেখা একটি মতামত-প্রবন্ধের সহলেখক হওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একটি অভিবাসন আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত, ভারমন্টের বার্লিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারপতি উইলিয়াম সেশনস তার জামিন মঞ্জুর করে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন। এই মামলা ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রো-প্যালেস্টাইন অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে।
সূত্র: https://rb.gy/mn1gv6
মিরাজ খান