ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যে গ্রামে পুতুলেরা হাঁটে-বসে, স্কুলে যায়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ২১ মে ২০২৫; আপডেট: ১৩:২৩, ২১ মে ২০২৫

যে গ্রামে পুতুলেরা হাঁটে-বসে, স্কুলে যায়

জাপানের শিকোকু দ্বীপের ছোট একটি পাহাড়ি গ্রামের নাম নাগোরো। সেখানে শত শত মুখ তো আছে। কিন্তু কেউ ই নিচ্ছে  না নিশ্বাস। তাতে নেই কোনো প্রাণ। কারণ এই গ্রামে যাদের দেখা যায় তারা কেউ ই মানুষ নয়। এখানে মানুষ আছে মাত্র ২৫-৩০ জন। বাকী গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে আছে মানুষ সদৃশ শত শত জীবনহীন পুতুল। 

সারা দেশে এই গ্রামটি এখন পরিচিত ‘ভিলেইজ অফ ডলস’ নামে। দুই-তিন দশক আগেও এই গ্রামে প্রায় তিন'শ জনের মত মানুষ বাস করতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কাজের খোঁজে মানুষ ছড়িয়ে পড়ে শহরে। মানব জন্মও থেমে যায়। সর্বশেষ শিশু জন্ম নেয় প্রায় ১৯ বছর আগে। সেই থেকে এই গ্রাম হয়ে পড়ে নিরব, জনমানবহীন এক শূন্যতা। এই শূন্যতাকে ভরাট করতে নিসঃঙ্গতাকে মুছে ফেলতে এগিয়ে আসেন ৭০ বছর বয়সী এক নারী সুকিনি আয়ানো। নিজের শৈশবের গ্রামে ফিরে এসে দেখলেন বাড়িগুলো ফাঁকা, স্কুল বন্ধ। হাসি নেই কোথাও। সেই শূন্যরা থেকেই তিনি শুরু করলেন কাপড়, তুলা, কাঠের গুঁড়ো দিয়ে মানুষ আকৃতির পুতুল বানানো। 

গ্রামে যারা এক সময় ছিলেন, তাদেরই রূপ ফুটিয়ে তুললেন মুখগুলোর মধ্যে। স্কুলে বসানো হলো ছাত্রছাত্রীদের পুতুল। যেখানে পুরোনো শিক্ষকরা এখনো গিয়ে ক্লাস করান। হাসপাতালে ডাক্তার পুতুল আসে রোগী পুতুল দেখতে। 

সুকিনি এখন একা নন। গ্রামবাসীরাও পুতুল বানান। কেউ পুরানো কাপড় দিয়ে তাকে সাহায্য করেন। এখন প্রতি বুধবার সুকিনি নিজেই শেখান পুতুল বানানোর কাজ। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। কেউ শিখে যায় শিল্প। কেউ খুঁজে পায় মানুষ হারানোর যন্ত্রণার শান্ত উত্তর। 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=rWDzEqXmQko

মুমু

×