
ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ২৫টি বিয়ে করে প্রতিটি স্বামীকে ঠকিয়েছেন এক তরুণী। তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, গয়না ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে পালিয়ে যেতেন তিনি। অবশেষে রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রতারক এই নারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, অভিযুক্ত তরুণীর নাম অনুরাধা পাসওয়ান। তাকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশজুড়ে এখন তাকে ‘লুটের বধূ’ হিসেবেই চেনে অনেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুরাধা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সদস্য। এই চক্রের মূল টার্গেট ছিল বিয়ের জন্য ব্যাকুল, সাধারণ পরিবার থেকে আসা পুরুষরা। স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে পাত্রদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে মেয়ের ছবি পাঠিয়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হতো।
বিয়ের পর কিছুদিন স্বামীর ঘরে অবস্থান করলেও, পরে রাতের আঁধারে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে গায়েব হয়ে যেতেন অনুরাধা।
এই প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেন রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুর জেলার বিষ্ণু শর্মা নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, অনুরাধাকে বিয়ে করতে তিনি দুই দালালকে ২ লাখ টাকা দেন। কিন্তু কোর্ট ম্যারেজের ১২ দিন পর, অনুরাধা সব গয়না ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।
বিষ্ণুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ‘আন্ডারকভার অপারেশন’ পরিচালনা করে। এক গোপন গোয়েন্দাকে পাত্র সাজিয়ে দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করানো হয়। অনুরাধার ছবি পাওয়ার পর ফোন ট্র্যাক করে ভোপাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সাত মাসে অনুরাধা পাসওয়ান অন্তত ২৫ জন পুরুষকে একইভাবে বিয়ে করে প্রতারণা করেছেন।
এই ঘটনায় জড়িত দালাল চক্র এবং অন্যান্য সহযোগীদের ধরতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নুসরাত