
ছবি : জনকণ্ঠ
এনজিও পরিচালিত স্কুলে শিক্ষকতা করে স্বল্প বেতনের আয়েই কোনো রকমে চলে উখিয়ার বালুখালীর বাসিন্দা আব্দুর রশিদের সংসার।
স্থানীয়দের কাছে নম্র-ভদ্র হিসেবে পরিচিত এই যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে খোদ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে বালুখালী স্টেশনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে রশিদকে মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
গত ১৯ মে বিকেলে রশিদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর রাতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক দেখিয়ে উখিয়া থানায় মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আব্দুর রশিদ সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
রশিদের স্ত্রী জিসান আক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী, আটকের দিন বাজারে যাওয়ার পথে অতর্কিতভাবে রশিদকে তুলে নিয়ে যায় ডিএনসি সদস্যরা।
তিনি দাবি করেন, প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী সালামত উল্লাহকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে তার নিরপরাধ স্বামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ সময় বক্তব্যে বালুখালী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুবিন উদ্দিন বলেন, "রশিদ একজন হাফেজ, সে আমার মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি। এমন ধর্মপ্রাণ যুবকের মাদক কারবারে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।"
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এর আগেও নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসিয়েছেন উল্লেখ করে বক্তব্যে স্থানীয় যুবনেতা নুরুল আবছার সাজু—রশিদের এমন দুঃখজনক পরিণতির রহস্য উদঘাটনে সংশ্লিষ্টদের সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ করেন।
সাংবাদিক নেতা আব্দুস সাত্তার আজাদের সঞ্চালনায় এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
গত ২০ মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা মামলায় রশিদকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
সা/ই