
ছবি: সংগৃহীত।
গ্রীষ্মকালের রসালো ফলগুলোর মধ্যে আনারস অন্যতম। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, এর পুষ্টিগুণও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক অভিভাবকই আনারস খাওয়াতে দ্বিধা করেন, বিশেষত টক লাগার কারণে। কিন্তু সঠিক পরিমাণে ও সঠিকভাবে পরিবেশন করলে আনারস শিশুদের জন্য হয়ে উঠতে পারে এক প্রাকৃতিক পুষ্টি-বুস্টার।
চলুন জেনে নিই, আনারস খাওয়ার কী কী উপকারিতা আছে ছোটদের জন্য।
১. হজমের জন্য দুর্দান্ত সহায়ক
আনারসে আছে ব্রোমেলেইন (Bromelain) নামক একটি প্রাকৃতিক এনজাইম, যা প্রোটিন হজমে সহায়তা করে। শিশুরা অনেক সময় নতুন খাবার খেলে পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি অনুভব করে, সেখানে আনারস হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
২. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আনারস ভিটামিন সি-তে ভরপুর, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত আনারস খেলে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর ইত্যাদি সাধারণ অসুস্থতা থেকে বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে বেশি সুরক্ষিত থাকে।
৩. হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে
আনারসে থাকে ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম, যা শিশুর হাড় ও দাঁতের সঠিক গঠনে সহায়ক। বেড়ে ওঠার সময় এই উপাদানগুলো শিশুর শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
৪. চোখের সুস্থতা রক্ষা করে
ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ আনারস চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। পর্দার সামনে বেশি সময় কাটানো শিশুর জন্য এটি উপকারী ফল হতে পারে।
৫. প্রাকৃতিক শক্তি জোগায়
আনারসে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা (প্রধানত ফ্রুকটোজ) শিশুকে তৎপর ও শক্তিশালী রাখে। খেলাধুলা বা পড়াশোনার পর আনারসের রস হতে পারে দুর্দান্ত একটি স্ন্যাকস।
যেভাবে পরিবেশন করবেন:
– আনারস ছোট ছোট টুকরো করে নরম করে দিন,
– স্ন্যাকস বা সালাদে মিশিয়ে দিতে পারেন,
– মধু বা একটু লবণ-লঙ্কা মিশিয়ে রুচিসম্মত করে তুলতে পারেন।
সতর্কতা:
খালি পেটে আনারস না দেওয়াই ভালো, কারণ এতে থাকা অ্যাসিড কিছু শিশুর জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। খুব বেশি পরিমাণে খাওয়ানো উচিত নয়, যাতে অ্যালার্জি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা না হয়।
সঠিকভাবে ও পরিমিত পরিমাণে আনারস খাওয়ালে এটি শিশুর জন্য হতে পারে এক অনন্য স্বাস্থ্যবান্ধব ফল। মিষ্টি স্বাদে পুষ্টির ছোঁয়া এনে আনারস শিশুর খাদ্যতালিকায় সহজেই জায়গা করে নিতে পারে।
নুসরাত