
ছবি: জনকন্ঠ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বাণিজ্যিকভাবে ফিলিপাইন জাতের আখ ‘ব্ল্যাক সুগার কেইন’চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা স্বাধীন সরকার।
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তাড়া ইউনিয়নের বড়তারা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে স্বাধীন সরকার। দুই বছর আগে ইউটিউব দেখে ফিলিপাইন জাতের এই কালো আখ চাষে আগ্রহী হন তিনি। পরে বিভিন্ন স্থান থেকে বীজ সংগ্রহ করে আখ চাষ শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানান স্বাধীন সরকার আমাদের গ্রামের ছেলে, আমাদের গ্রামে ফিলিপাইন জাতের কুসার (আখ) চাষ হচ্ছে খেতেও খুব মিস্টি এবং খুব ভালো। আমাদের এলাকায় আলু আর ধানই বেশি আবাদ হয়। তারপরেও আমাদের গ্রামের ছেলে ব্যতিক্রম হিসেবে কালো জাতের আখ চাষ করে, অনেক লাভবান হয়েছে এটা প্রশংসনীয়।
জানা গেছে. স্বাধীন সরকার ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ইউটিউব দেখে ফিলিপাইন জাতের আখ চাষে আগ্রহী হয় সে। প্রথম বছরে সামান্য কিছু টাকা লাভ হলেও হাল ছেড়ে দেননি তিনি। এবছর বেশি লাভের আশায় ৫৬ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন তার জমিতে যে পরিমাণ আখ আছে, তাতে এ বছর প্রায় খরচা বাদে ৫ থেকে ছয় লাখ টাকার আখ বিক্রির আশা করছে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা স্বাধীন সরকার।
এ ছাড়াও স্বাধীন সরকার জানান. আগে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতাম কাজটি ভালো লাগেনি, ছেড়ে দিয়েছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেছি কালো জাতের আখ চাষ। ৫৬ শতাংশ জমিতে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করেছি খরচা বাদ দিয়ে ৫ থেকে ছয় লক্ষ টাকা বিক্রি হতে পারে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক বড়তাড়া) অভিজিৎ দত্ত জানান, স্বাধীন সরকার একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। সে ৫৬ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছে এবং আস্তে আস্তে সফলতার দিকে এগোচ্ছে। গতবছরও চাষ করেছেন তিনি কিন্তু এবছর তার সফলতার হার বেশি। এ ফিলিপাইন জাতের আখে রোগবালাই ও কম ক্ষেতে মিষ্টি হওয়ায় উপজেলার অনেকেই চাষ করেছেন। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করতেছি।
মুমু