ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আমতলী সোনালী ব্যাংক থেকে গ্রাহকের প্রায় দুই লাখ টাকা চুরি

মোঃ হোসাইন আলী কাজী, আমতলী-বরগুনা

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২১ মে ২০২৫

আমতলী সোনালী ব্যাংক থেকে গ্রাহকের প্রায় দুই লাখ টাকা চুরি

ছবি : জনকণ্ঠ

আমতলী সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে গ্রাহক মোঃ শাহজাহান বিশ্বাসের এক লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোরকে শনাক্ত করতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে।

জানা গেছে, আমতলী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের চারজন দলিল লেখকের মহুরী মোঃ শাহজাহান বিশ্বাস পে-অর্ডার কাটার জন্য বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমতলী সোনালী ব্যাংক শাখায় যান। তিনি ব্যাংকে গিয়ে টেবিলের উপর টাকা রেখে চালান লিখছিলেন। কিছুক্ষণ পর টাকার বান্ডিল খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজারকে জানান। ম্যানেজার তাৎক্ষণিকভাবে আমতলী থানা পুলিশকে খবর দেন। তবে ততক্ষণে চোর সটকে পড়ে।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এদিকে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোরকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, "আমি গত ৩০ বছর ধরে দলিল লেখক নাশির, শাহজাহান চৌধুরী, পাশা সিকদার ও ইসমাইল হাওলাদারের মহুরী হিসেবে কাজ করছি। বুধবার দুপুরে ব্যাংকের টেবিলের উপর এক লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকার বান্ডিল রেখে পে-অর্ডারের চালান লিখছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি টাকার বান্ডিল নেই। পরে ম্যানেজারকে জানাই। কিন্তু ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোর শনাক্ত করা যায়নি।"

তিনি আরও বলেন, "এর আগেও একাধিকবার গ্রাহকদের টাকা চুরি হয়েছে, কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। আমি একজন গরিব মানুষ, কিভাবে এতো টাকা পরিশোধ করবো! আমি দ্রুত টাকা উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।"

আমতলী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জুলকার বিন খালেক বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এক সপ্তাহ আগে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়েছে। সেটি বরগুনায় মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা চালু থাকলে ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করা সম্ভব হতো।"

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোরকে শনাক্ত করা যায়নি। দ্রুত চোরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।"

সা/ই

×