ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শিশুদের বারবার ঠান্ডা কাশি হলে করণীয়

প্রকাশিত: ০২:০৭, ২২ মে ২০২৫

শিশুদের বারবার ঠান্ডা কাশি হলে করণীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

শিশুদের ক্ষেত্রে বারবার ঠান্ডা লাগা, কাশি হওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ত্বকে র‍্যাশ এবং চুলকানির মতো উপসর্গ এখন অনেকটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এসব সমস্যার পেছনে প্রধানত খাবারের প্রতি অ্যালার্জি ও পারিবারিকভাবে এলার্জির ইতিহাস ভূমিকা রাখে।

শিশুদের ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা বা অ্যালার্জিক সমস্যা নিরসনে একটি খাবারের তালিকা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারা পরামর্শ দেন, যদি এই খাবারগুলোর কোনোটি শিশুকে নিয়মিত খাওয়ানো হয় এবং সে বারবার ঠান্ডা বা ত্বকের সমস্যায় ভোগে, তাহলে সেই নির্দিষ্ট খাবারটি সাময়িকভাবে বাদ দেওয়া উচিত।

নিচে এমন ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলোর প্রতি শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জি হবার প্রবণতা বেশি দেখা যায়:
১. গরুর দুধ
২. হাঁসের ডিম
৩. ইলিশ মাছ
৪. চিংড়ি মাছ
৫. পুঁইশাক
৬. পালং শাক
৭. বাদাম
৮. মুগ ডাল
৯. গাজর
১০. বেগুন ও মিষ্টি কুমড়া

চিকিৎসকদের মতে, এই খাবারগুলো সরাসরি ঠান্ডা-কাশির কারণ না হলেও, যাদের শরীরে এসবের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশেষ করে যেসব শিশুদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কারো অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এইসব উপসর্গ বেশি দেখা যায়।

প্রতিরোধ ও করণীয়

  • উপরে উল্লেখিত খাবারগুলোর মধ্যে কোনটি শিশুর দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রয়েছে তা নজরে রাখতে হবে।

  • যে খাবারটি খাওয়ার পর শিশু অসুস্থ হয় বা উপসর্গ বাড়ে, তা পর্যবেক্ষণ করে বাদ দিতে হবে।

  • প্রয়োজনে একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এলার্জি পরীক্ষা করানো যেতে পারে।

  • নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

  • যেসব শিশুরা অতিরিক্ত ঘামে, তাদের দিনে অন্তত তিনবার হালকা ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।

বিশেষ সতর্কতা

এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে নিজের মতো করে ওষুধ না দিয়ে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ অ্যালার্জি বা ঠান্ডাজনিত রোগ দীর্ঘমেয়াদে শিশুর শ্বাসযন্ত্র ও ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1BdQXc6Hvh/

ইমরান

×