ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ডাক্তারকে না বলে ভিটামিন খাবেন না! জানুন সঠিক খাওয়ার নিয়ম

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ২২ মে ২০২৫

ডাক্তারকে না বলে ভিটামিন খাবেন না! জানুন সঠিক খাওয়ার নিয়ম

আজকাল অনেকেই ভিটামিন খাওয়ার ব্যাপারে নানা পরামর্শ পান—কেউ ফার্মাসি টেকনিশিয়ানের কথা শুনে, কেউ পরিচিত কারো কথা মেনে, আবার কেউ অনলাইনে পড়ে। কিন্তু আসল সমস্যা শুরু হয় যখন ডাক্তাররা নিজেরা সময় না পাওয়ার কারণে ভিটামিন সেবনের সঠিক পদ্ধতি বোঝাতে পারেন না। তাই আজকে ভিটামিন খাওয়ার নিরাপত্তা এবং সঠিক নিয়ম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হচ্ছে।

আইরন ভিটামিন:
রক্তশূন্যতা কমানোর জন্য সাধারণত ডাক্তাররা আয়রন ট্যাবলেট দেন। কিন্তু এটি খাওয়ার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। আয়রন খালি পেটে নেওয়া উচিত, কারণ খালি পেটে এটি ভালোভাবে শোষিত হয়। অনেক সময় আয়রনের সঙ্গে ভিটামিন সি বা লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়, কারণ এটি শোষণ বাড়ায়।
কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, আয়রন খাওয়ার আগে বা পরে অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ক্যালসিয়াম জাতীয় কোনো খাবার, দুধ বা ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড খাওয়া যাবেনা। কারণ এসব আয়রনের শোষণ কমিয়ে দেয়।

ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন (ডি, ই, কে, এ):
এই চারটি ভিটামিন ফ্যাট সলিউবল হওয়ার কারণে এগুলো শোষণ হতে চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত। অন্যথায় এগুলোর শোষণ কম হতে পারে। এছাড়া, ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন শরীরে জমে থাকার প্রবণতা রাখে। তাই ডাক্তার ছাড়া দীর্ঘদিন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ নয়; কারণ বিষক্রিয়া হতে পারে।

ওয়াটার সলিউবল ভিটামিন (বি কমপ্লেক্স, সি, বি১২):
এই ধরনের ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয়, তাই শরীর যা প্রয়োজন তা ব্যবহার করে বাকি ইউরিনের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তবে পানি পান ঠিকমতো করতে হবে, না হলে কিডনিতে জমা হতে পারে। অতিরিক্ত সেবন হলে প্রচুর পানি খাওয়া জরুরি।

ক্যালসিয়াম:
বিভিন্ন ফর্মে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যেমন কার্বনেট ইত্যাদি। এগুলো খাবারের সঙ্গে নেওয়া ভালো। তবে ক্যালসিয়ামের সঠিক খাওয়ার নিয়ম অবশ্যই জানা জরুরি, কারণ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ক্যালসিয়ামের খাওয়ার সময় ভিন্ন হতে পারে।

ফলিক এসিড:
গর্ভাবস্থায় সন্তান ও মায়ের জন্য ফলিক এসিড খুবই জরুরি। তবে গর্ভধারণের পরিকল্পনা করলে আগে থেকেই ফলিক এসিড সেবন শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সারাংশে, যেকোনো ভিটামিন সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক। কারণ সঠিক ডোজ, সঠিক সময় ও নিরাপত্তা সম্পর্কে না জানলে নানা ধরনের সমস্যা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সুত্র : https://www.facebook.com/share/v/19tofyHpG5/

 

রাজু

×