
ছবি: জনকণ্ঠ
সাঁথিয়া বনগ্রাম ও সাঁথিয়া - চিনাখরা,সাঁথিয়া -২৪ মাইল বাজার, সাঁথিয়া -ধূলাউড়ি, ধূলাউড়ি থেকে সিলন্দা বাজার আঞ্চলিক সড়কের অধিকাংশ অংশ খর, ধান শুকানোর উঠোনে পরিণত হয়েছে। এতে করে সড়কটি কোথাও সংকুচিত, আবার কোথাও প্রসারিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে এই সড়কের দুই পাশে এবং মাঝে মাঝে পুরো সড়ক জুড়ে ধান, খড় শুকানো হচ্ছে । অনেক কে কৃষাণ-কৃষাণী থেকে শুরু করে ছোট ছেলে-মেয়েরা সবাই ব্যস্ত সেই কাজে। সড়কের কোলঘেঁষা গ্রামের কৃষকরা এখন তাদের ধান, খড় শুকানোর জন্য সড়কের বিভিন্ন স্থান দখলে রেখেছে। এ কারণে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। ধান ও খড়ের ওপর দিয়ে যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
কামরুল ও শামীম নামের রিকশা ও সিএনজি চালক বলেন,সড়কের কোথাও কোথাও ধান ও খড়ের স্তূপ থাকে, গাড়ি চালাতে আমাদের সমস্যার কোন শেষ নাই ।আমরা চালকরা কোন কিছু বললে উল্টো তারা আমাদের গালিগালাজ সহ মারধরের হুমকি দেয় এবং বলে আমরা রাস্তায় শুকাই তাই আপনাদের কি।
আমরা হর্ন দিলেও শোনে না, আর শুনলেও না শোনার ভান করে হুট করে রাস্তা পারাপার হয়। অনেকে তো সড়ককে ধান ও খর শুকানোর চাতালের মতো করে ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
এ ব্যাপারে কয়েকজন কৃষানী বলেন, সড়কের উপর ধান, খর ছড়িয়ে দিলে অতি সহজেই তা শুকিয়ে যায় তাই বাড়ির উঠোনের উপর না শুকিয়ে সড়কের উপরে শুকানো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি । সামনে বৃষ্টির মাস । এ অবস্থায় যদি বৃষ্টির মধ্যে পরি তাহলে এই ধানগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বাড়িতে খোলা না থাকায় রাস্তার উপর শুকাতে দিয়েছি। আরেকজন কৃষক বলেন,আমার বাড়িতে বড় জায়গা না থাকায় সড়কের উপর শুকাচ্ছি। বিকেল হওয়ার আগেই নিয়ে যাব।
সচেতন মহল মনে বলেন, সাঁথিয়া -বনগ্রাম এবং সাঁথিয়া - চিনাখরা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে সারা দিন রাত ধরে অজস্র যানবাহন চলাচল করে। ধান কাটার মৌসুমে সড়কটির বিভিন্ন অংশে ধান শুকানো, ধানমাড়াই ও খর শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে কখনো কখনো ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল ও পরিবহণ চালকগন ।
সাব্বির