
মায়ের গর্ভ থেকে জন্মদান সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে হওয়া খুব প্রাণবন্ত ও অকৃত্রিম জীবন্ত প্রক্রিয়া। এতে সন্তান যে বিকাশ সুস্থতা পায় অন্য কোনো কৃত্রিম পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য গর্ভবতী মায়ের সুস্থতার কোনো বিকল্প নেই। একজন মা যখন থেকে গর্ভবতী হবে তখন অতি যত্নের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করে বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সকলকে অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখভাল করতে হবে। যেমন শারীরিক স্বাস্থ্য তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি। একজন মা গর্ভবতী হলে আনন্দের উষ্ণতা বিরাজ করে পরিবারে ও বন্ধুমহলে। ঘরে নতুন অতিথি আসার আনন্দ অন্য রকম আমেজ। তবে যায় হোক প্রেগনেন্ট হওয়ার পরে একজন ভালো চিকিৎকসের পরামর্শ ক্রমে জীবন যাপন করতে হবে। তার জন্য পরিবারে খুব কাছের আপনজন কে অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং গর্ভবতী মাকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করতে হবে। তারপরে গর্ভবতী নারীর প্রতি খুব সংবেদনশীল নরম আচার-আচরণ করতে হবে। যাতে করে একজন গর্ভবতী মা আত্মবিশ্বাস ভাল থাকে। প্রত্যেক গর্ভবতী নারী চান একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করতে। এ জন্য গর্ভবতী মা তাঁর অনাগত সন্তানের জন্য গর্ভকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা গুরুত্ব অপরিহার্য। গর্ভকালীন মা যাতে সুস্থ থাকে যথাযথ চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করা, পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু পদক্ষেপ রাখা, নানান রকম ঝুঁকি মোকাবিলার সজাগ থাকা।
এমন কোনো সমস্যা দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে হবে। গর্ভকালীন নানান সমস্যাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য সর্বদা তৎপর থাকতে হবে। গর্ভকালীন অবস্থায় কমপক্ষে চারবার ভালো চিকিৎসকের কাছে চেক আপ করা। আজকাল দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্রে হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং টেলিভিশন, স্মার্টফোন সহজে চিকিৎসা বা সুপরামর্শ পাওয়া যায় নানান সমস্যার। গর্ভকালীন মা পুষ্টিকর ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। গর্ভবতী মাকে দুধ, পাকা কলা, নানান ফরমুলা, সবুজ সবজি মাছ, মাংস প্রোটিনসমৃদ্ধ ও শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে। ত্বক, হাড়, রক্তনালী সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি ও সি খেতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে
প্যানেল