
ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, "বাংলাদেশের রাজনীতি একসময় একটি সুস্থ ধারার মধ্যেই ছিল। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ধারায় একটি সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে যদি আমরা পরিপুষ্ট করতে না পারি এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারি, তাহলে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সমালোচনা যে একটি স্তম্ভ—সেই স্তম্ভ হিসেবে তা কাজ করবে বলে মনে হয় না। আর এ কারণে অতীতে যেমন আমাদের খেসারত দিতে হয়েছে, ভবিষ্যতেও দিতে হতে পারে।"
সম্প্রতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এক বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, "বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি প্রস্রাব করে দেয়, তাহলে তোমরা বঙ্গোপসাগরে ভেসে যাবে।" তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সারজিস আলম পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "যদি দুদু ভাই গত ১৬ বছরে একটি ‘গণপ্রস্রাব’ কর্মসূচি ডাকতেন, তাহলে হয়তো ফ্যাসিবাদ অনেক আগেই চলে যেত।" পরবর্তীতে তিনি একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, "ঢাকার এই বৃষ্টি কি ভাইয়ের কর্মসূচি?"
এরই ধারাবাহিকতায় দুদু বলেন, “সমালোচনা করতে অনেকেই পছন্দ করে, কিন্তু সমালোচনা নিতে কেউই পছন্দ করে না। বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দল, যার নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর কিনারা থেকে আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছেন, সেই দলে অসংখ্য নেতাকর্মী ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন, শহীদ হয়েছেন। গত ১৫ বছরের যে আন্দোলন—তার শেষ এক মাসে যাঁরা সফলভাবে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের একটি বড় অংশই ওই দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘সৈরাচার’ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমাদের নেতা ইলিয়াস আলীসহ অনেকেই গুম হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। এমন একটি দলের সম্পর্কে যদি হঠাৎ করে কেউ বলে বসেন যে এটি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পরিচালিত হয়, তবে সেটি সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। এমন মন্তব্য রূপক অর্থে হলেও অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি—সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে ফেসবুকে একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। আপনার মতামত যদি তাদের পছন্দ না হয়, তাহলে তারা এমনভাবে আপনাকে আক্রমণ করবে, সেখানে সুস্থ ধারার তো প্রশ্নই ওঠে না—আপনার ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলবে।”
ইমরান