ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাড়তি খাদ্য ও সেবা

মো. রাসেল ভূইয়া

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২১ মে ২০২৫

বাড়তি খাদ্য ও সেবা

একজন গর্ভবতী নারী অনেক সময় অবসাদগ্রস্ত থাকেন। তার মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে থাকে। তাছাড়া শারীরিক জটিলতা তো আছেই। এমন সময় বাড়ির সবার সাহায্য সহযোগিতা একান্তভাবেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তার দিকে একটা বাড়তি যত্নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। গর্ভের ভ্রূণ বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্যের চাহিদা দেখা দেয়। আবার আয়রণ জনিত ঘাটতিতে রক্তস্বল্পতায় অনেক গর্ভবতীকে ভোগতে দেখা যায়। তাই এ সময় গর্ভের শিশু বেড়ে উঠতে নিয়মিত সুষম খাদ্য এবং যত্নের বিকল্প নেই। তবে নিয়মিত ডাক্তারি চেক আপ করা বাধ্যতামূলক। তাতে গর্ভের বাচ্চা সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা বা অন্য কোনো ধরনের জটিলতা আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একজন গর্ভবতীকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এ বিষয়টি নিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের ওপর অমানুষিক পারিবারিক অন্যায় আচরণ শুরু হয় ডাক্তারি পরীক্ষায় যখন জানা যায় গর্ভের সন্তান মেয়ে। এটা জানার পর অনেক পরিবারই গর্ভবতীর দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। যেন কন্যা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে তিনি মহাঅপরাধ করে ফেলেছেন। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিটি পরিবারকেই পরিহার করতে হবে। কন্যা সন্তান হলো- আল্লাহর বড় ধরনের নিয়ামত। সবাইকে আল্লাহ পাক কন্যা সন্তান দেন না। এমন নিয়ামত পেয়েও আমরা অখুশি হয়ে থাকি যা বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। তবে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে সরকার মাতৃত্ব ভাতা চালু করেছেন। এতে দেশের ব্যাপক গর্ভবতী নারী এ ভাতা দিয়ে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনী ব্যয়ভার বহন করতে পারবে। একজন গর্ভবতী যদি সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে না পারে তাহলে ঝুঁকি বেড়ে যায় বহু গুণে। গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের তুলনায় মাথা মোটা হয়ে যায়। এমনকি মাথার উপরের অংশ দেবে পর্যন্ত যায়। তাই কর্মজীবী নারীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রাম না নিলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়ে গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো একজন গর্ভবতী নারীর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আর পারিবারিক যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
 
সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ থেকে

প্যানেল

×