ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পে অর্থ লুটের আশঙ্কায় উপকূলবাসী!

মোঃ আবু তালেব, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৮:২২, ২১ মে ২০২৫

বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পে অর্থ লুটের আশঙ্কায় উপকূলবাসী!

ছবি: জনকন্ঠ

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। অথচ বারবার প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বরাদ্দের পরও কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এবারের প্রকল্পের ৩৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের বড় একটি অংশ লুটপাটের আশঙ্কা রয়েছে।

ইতোপূর্বে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর একাধিকবার বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। প্রতি বছর বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।

জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের এক বাসিন্দা আব্দুল খালেক জনকণ্ঠকে বলেন, “প্রতি বছর বরাদ্দ আসে, কাজের শুরু হয় না। টেন্ডার হয়, কাজ দেখাই যায় না। এবার শুনি ৩৪৬ কোটি টাকার প্রকল্পের টাকাও ভাগবাটোয়ারার পাঁয়তারা চলছে। রায়পুর ইউনিয়নের স্থানীয় নারী বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, “আমরা আর প্রতিশ্রুতি চাই না। চোখে দেখার মতো টেকসই বাঁধ চাই। নয়তো এ বছরের বর্ষায় সব শেষ হয়ে যাবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে নির্মাণ সামগ্রী সাপ্লাইকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বিএনপির বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা শেষ পর্যন্ত আনোয়ারাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে দেবে। একইসঙ্গে, অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ লুটপাটের যে ভয়াবহ নজির ছিল, তা আবারও পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের অগ্রগতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে, না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

মুমু

×