
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষবার প্রোস্টেট ক্যান্সারের স্ক্রিনিং করিয়েছিলেন ২০১৪ সালে, এমনটাই জানিয়েছে তার কার্যালয়। অর্থাৎ, এক দশকের বেশি সময় ধরে কোনো পরীক্ষা না করানোয় অজান্তেই তার শরীরে বাসা বেঁধেছিল প্রোস্টেট ক্যান্সার। যা এখন ‘অত্যন্ত আক্রমণাত্মক স্টেজ-৪’ এ, ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে হাড়ে।
এই তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে, দেশের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বাইডেন এতো দেরিতে, এত জটিল অবস্থায় রোগটি জানতে পারলেন?
বাইডেনের মুখপাত্র বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সর্বশেষ PSA (Prostate-Specific Antigen) পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৪ সালে। গত শুক্রবারের আগ পর্যন্ত তার প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েনি।’
প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত বয়স্ক পুরুষদেরই বেশি হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে এটি সাধারণভাবে রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে (PSA টেস্ট) ধরা পড়ে। তবে গত কয়েক দশক ধরে বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে, প্রোস্টেট ক্যান্সারের আগাম স্ক্রিনিং আদৌ সব সময় প্রয়োজন কিনা, বিশেষ করে বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে।
২০১৪ সালে বাইডেন যখন শেষবার পরীক্ষা করান, তখন U.S. Preventive Services Task Force স্ক্রিনিংয়ের বিরুদ্ধে মত দিয়েছিল। তাদের মতে, তখনকার পরিস্থিতিতে বয়স বিবেচনা না করেই স্ক্রিনিং না করাই ভালো।
তবে ২০১৮ সালে নির্দেশনা বদলে যায়। তখন বলা হয়, ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের উচিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে পরীক্ষা করানো। তবে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে তখনও স্ক্রিনিং না করার পক্ষে মত দেয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালে বাইডেনের বয়স ছিল ৭২ বছর।
২০১৯ সালে বাইডেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন, তখন প্রকাশিত তার মেডিকেল রিপোর্টে দেখা যায় তিনি একবার Benign Prostatic Hyperplasia (BPH)-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা মূলত প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, BPH প্রস্টেট ক্যান্সার নয়, এবং এটি থেকে ক্যান্সারে রূপ নেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন বাইডেনের ক্ষেত্রে চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু হয়, ততই ভালো। তবে রোগটি যেহেতু হাড়ে ছড়িয়েছে, তাই তার চিকিৎসা হবে দীর্ঘমেয়াদী এবং জটিল।
সূত্র: দ্য হিল ডট কম।
রাকিব