
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক খাতে অর্থ ব্যয় অনেক কমাবেন। কাতার ইকোনমিক ফোরামে মঙ্গলবার এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘রাজনৈতিক খাতে আমি যথেষ্টই খরচ করেছি। এখন আমার আর কোনো প্রয়োজন মনে হচ্ছে না।’
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি কোনো কারণ দেখি, তাহলে খরচ করব। কিন্তু এই মুহূর্তে তেমন কিছু দেখছি না।’
মাস্কের এই ঘোষণা এমন সময়ে এল, যখন তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ২৭৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন বলে জানা গেছে, যা তাঁকে সেই নির্বাচনের সর্বোচ্চ দাতা হিসেবে তুলে ধরে। তিনি তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান পার্টিকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এখন মাস্ক নিজেই রিপাবলিকানদের জন্য রাজনৈতিক বোঝা হয়ে উঠেছেন। একদিকে মাস্কের জনপ্রিয়তা পড়ে গেছে, অন্যদিকে টেসলা নিয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঢেউ, যার ফলে সংস্থার শেয়ারেও প্রভাব পড়েছে।
মাস্কের সুপার পিএসি (Political Action Committee) উইসকনসিন সুপ্রিম কোর্টের এক রেসে ১৫.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ওই প্রার্থী পরাজিত হন। এতে মাস্কের রাজনৈতিক প্রভাব ও ব্যয়ের কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘টেসলাকে ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটেছে—শেয়ারের পতন, জনরোষ, রাজনৈতিক হামলা—সবই আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করেছি।’ তবে তিনি এটাও বলেননি যে এসব কারণে তিনি রাজনৈতিক দুনিয়া থেকে সরে আসছেন, বরং মন্তব্য করেন, ‘আমার কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়েছে, আমাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, মাস্ক ২০২৬ সালের মিডটার্ম নির্বাচনেও বড় অঙ্কে অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন, তবে এখন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
হোয়াইট হাউস বা মাস্কের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্র: https://www.businessinsider.com/elon-musk-less-political-spending-trump-2025-5
রাকিব